এই খবরের উত্তর জানা এত সহজে সম্ভব নয়। সহজে এই প্রশ্নের উত্তর আশা করাও কঠিন। কারণ তারা দুজনই ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেন।
তবে ২০১৯ সালে ২৫তম বিয়েবার্ষিকীতে সানডে টাইমসকে মেলিন্ডা বলেছিলেন, তাদের বিয়েটা বেশ কঠিন পর্যায়ে ঠেকেছে। বিল নিয়মিত দিনের ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। পরিবারের জন্য তার সময় বের করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের কাজ নিয়ে দুজন দুজনকে সময় দিতে না পারায় তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। আর এই কারণে বিয়েবিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হলো তাদের।
তবে বিল গেটস দাম্পত্য জীবন নিয়ে খুব ইতিবাচক ছিলেন। মেলিন্ডা নিজেই বলেছিলেন বিল কাজ ও পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। এমনকি তিনি বিয়ের ভালো মন্দ দিকগুলো নোটবুকে লিখেও রাখতেন।
কাজের ক্ষেত্রেই বিল ও মেলিন্ডা গেটসের পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে। বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেছিলেন তারা। বিয়ের ২৭ বছরে পেয়েছেন তিন সন্তান। এত কিছুতে জড়িয়ে পড়ার পরও একসঙ্গে তাদের আর থাকা হচ্ছে না।
সোমবার টুইটারে পোস্ট করা যৌথ বার্তায় গেটস দম্পতি বলেন, ‘ব্যাপক চিন্তাভাবনা করে আমরা বিয়ের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অবশ্য বিচ্ছেদ হলেও তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ এর কাজ চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
গেটস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফাউন্ডেশনের কৌশলগত বিষয়ের অনুমোদন, সব আইনি ইস্যু এবং সংস্থার সামগ্রিক দিকনির্দেশ নির্ধারণের জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন বিল গেটস ও মেলিন্ডা।
তবে ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হলেও বিল গেটস ও মেলিন্ডার যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি কিভাবে ভাগ হবে বা বিচ্ছেদের চুক্তি কী হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো পক্ষই এখনো কোনো কথা প্রকাশ করেনি। আদালতের কাছে তারা এই বৈবাহিক সম্পর্ক মিটিয়ে ফেলার আবেদন জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিচ্ছেদ চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসায়িক স্বার্থ, দায়বদ্ধতা ও যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি ভাগ করার বিষয়ে আবেদনও জানিয়েছেন তারা।