• ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভাস্কর্য নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা স্থায়ী বহিষ্কার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৬, ২০২০
ভাস্কর্য নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা স্থায়ী বহিষ্কার

বিবি এন নিউজ ঢাকাঃ ভাস্কর্য নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন উপস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের এক নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে ছত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার নাম কবির হোসাইন। তিনি কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় কবির হোসাইনকে (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগ) ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।

তবে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরেই তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত পহেলা ডিসেম্বর কবির হোসাইন তার ফেসবুক টাইমলাইনে ভাস্কর্য নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে এক জায়গাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামুনুল হক যদি কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে, তার কণ্ঠনালী কেটে দাও, যদি কুরআন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, আল্লাহ এটাকে হারাম করে, তবে কোনো বাপের বেটা এটাকে হালাল করার সাহস রাখে? কুরআনের বিরোধিতা যেই করবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ১ সেকেন্ডও অপেক্ষা করবে না ঈমানদাররা! হোক সে মামুনুল হক, মুজিব, জিয়া! হোক সে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বামাতি বা জামাতি!’

‘ইসলামের প্রতিনিধিত্ব রহিমুদ্দি, সলিমুদ্দি, কলীমুদ্দিরা করে না, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল করেন! ইসলাম শিখতে হলে কুরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, মনগড়া যুক্তি খাটবে না!’

‘একটা কথা মাথায় রাখবেন, আল্লাহর কোনো আইন যদি আপনি না পালন করতে পারেন, সেটা অন্য কথা! তবে যদি তার কোনো আইনের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা, অস্বীকারও যদি করেন, আর নিজেকে যতই ঈমানদার দাবি করেন না কেন, মনে রাখবেন, আপনি খাঁটি মুসলমান না, পাক্কা মুনাফিক! আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করাও খাঁটি মুসলমানের জন্য ফরজ!’