• ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাঙামাটির রাজস্থলী থেকে অপহ্নত ৩ শ্রমিককে উদ্ধার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ১৫, ২০২৩
রাঙামাটির রাজস্থলী থেকে অপহ্নত ৩ শ্রমিককে উদ্ধার

 

||মুহাম্মদ ইলিয়াস,রাঙামাট প্রতিনিধি ||

রাঙামাটির রাজস্থলীর লংগদু পাড়া এলাকা থেকে অপহৃত তিন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ ৪৮ (মঙ্গল ও বুধবার) ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস পুলিশের অভিযানে
মুক্ত হওয়া অবশেষে রাজস্থলী হতে অপহ্নত ৩ শ্রমিক হলেন, সোহাগ (২০), রূপক (১৮) ও বিশ্বজিত দে (২২)।

পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীর বাঙ্গালহালিয়া লংগদু পাড়া এলাকা থেকে অপহৃত শ্রমিকদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টীম প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত থেক সন্ত্রাসীদের আস্তানায় দফায় দফায় হামলা চালায়। অবশেষে সেই অভিযানের সাফল্য পায় বুধবার রাতে। অপহৃতদের উদ্ধার করার পর তাদেরকে রাজস্থলী থানায় নিয়ে অপহরণ সংক্রান্ত তথ্য গ্রহন করা হয়। এরপর তাদেরকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়।

অপহৃত সোহাগ ও রূপক’র বড় ভাই সবুজ মিডিয়াকে জানিয়েছে, গত সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার সময় রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীন বাঙ্গালহালিয়ার লংগদু পাড়া এলাকায় রাতের আঁধারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে ৩ শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত ৩ মাস ধরে অপহৃতরাসহ ১৪জন শ্রমিক রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কের লংগদু পাড়াস্থ লেবার শেড এ অবস্থান করছে। এলজিইডি’র ধারক দেয়াল নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলো।তারা রোজকার মতো সোমবার সন্ধ্যায়ও কাজ শেষ করে লংগদু পাড়াস্থ লেবার শেডে অবস্থান করছিলো। এ সময় অন্যান্য শ্রমিকরা সেডের অদূরের চায়ের দোকানে আড্ডায় ব্যাস্ত ছিলেন। তখনই ৫/৬ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী খুটি থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে লেবার শেডে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে ৩ জনকে তুলে নিয়ে চলে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, অহরণ বিষয়ে জানতে পেরে রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ’র তদারকিতে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ আঅভিযান নামেন। মঙ্গলবার ও বুধবারের প্রায় ৪৮ ঘন্টার রূদ্ধশ্বাস অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে বিকেল থেকেই অপহৃতদের উদ্ধারের ব্যাপারে রাজস্থলী থানা পুলিশ আশাবাদী হয়ে উঠে। পরবর্তীতে বুধবার দিনগত রাতে তাদের শিকল বন্ধি অবস্থায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

রাজস্থলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার মিডিয়াকে বলেন, শ্রমিক অপহরণের পর থেকে শ্রমিক বা তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে যোগ করেন এ কর্মকর্তা।