• ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জোর করে ট্রলারে তুলে দেওয়ার পর ভূমধ্যসাগরে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২১
জোর করে ট্রলারে তুলে দেওয়ার পর ভূমধ্যসাগরে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু

বিবিএন ডেস্ক : দুই বাংলাদেশি যুবককে লিবিয়ায় আটকে রেখে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তার পর নির্যাতনের কল রেকর্ড শুনিয়ে কয়েক দফায় ১০ লাখ টাকা নেন দালালরা। এর পর আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরে ইতালি পাঠানোর কথা বলে জোর করে ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার রাতে সমুদ্রপথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবিতে দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানান স্বজনরা।
নিহতরা হলেন— মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম খাগদী এলাকার আবুল কালাম খানের ছেলে সাব্বির খান ও একই উপজেলার বড়াইলবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমান তালুকদারের ছেলে সাকিবুল।
এদিকে খবর পেয়ে দুই পরিবারেই চলছে শোকের মাতম। এ ঘটনায় দালালদের বিচার দাবি করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার অবৈধভাবে সমুদ্রপথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ায় ট্রলারডুবিতে মাদারীপুরের দুই যুবক মারা গেছেন। মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম খাগদী গ্রামের সাব্বির খান ও বড়াইলবাড়ী গ্রামের সাকিবুল তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন ছয় মাস আগে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন।
শনিবার তাদের লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ট্রলারে যাত্রা করায় দালালচক্র। রাত ৮টার দিকে তিউনিসিয়ায় ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবিতে মারা যান সাব্বির ও সাকিবুল।
নিহতের স্বজনরা জানান, চর-নাচনা গ্রামের দালালচক্রের সক্রিয় সদস্য সেকেন মোড়লের ছেলে আতিবর ও কাশেম এবং বড়াইলবাড়ী গ্রামের কবির মীরার ছেলে সবুজ ও সুমন ইতালি নেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নেন। এ ঘটনায় দালালদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত সাব্বিরের বাবা আবুল কালাম খান জানান, দালালরা কয়েক দফায় আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। ওরা আমার ছেলেকে লিবিয়াতে আটকে রেখে টাকার জন্য নির্যাতন করত। নির্যাতনের কল রেকর্ড শুনিয়ে কয়েক দফায় ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিল।
শনিবার রাতে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ট্রলারে তুলে দেয়। সেখান থেকে তিউনিসিয়ায় ট্রলারডুবিতে আমার ছেলে মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, দালালরাই আবার ফোন করে সেই খবর দিয়েছে। আমরা দালালদের বিচার চাই।
সাকিবুলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে ওরা জোর করে ট্রলারে তুলে দিয়েছে। সেই ট্রলার ডুবেই মারা গেছে। সরকারের কাছে একটিই দাবি— আমার ছেলের লাশটা যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।