• ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড,ইতালীর মুখোমুখি ফাইনালে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ৭, ২০২১
ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড,ইতালীর মুখোমুখি ফাইনালে

বিবিএনডেস্ক:ফুটবল কী তাহলে আসলেই ঘরে ফিরছে।ফুটবল খেলা আবিষ্কার করেছিল যারাসেই ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর আর কখনো বড় কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপাজেতা হয়নি। সব বড় টুর্নামেন্টেই ‘ইটস কামিং হোম‘ স্লোগান  তুলেন ইংলিশ সমর্থকেরা কিন্তু ফুটবলের আর ঘরে  ফেরা হয় না এবার ইউরোতে অবশ্য স্বপ্ন সত্যি  করার  খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ইংল্যান্ড দল। ঘরে ফেরার পথে ফুটবল এখন একেবারে দুয়ারে বলা যায়।দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেনমার্কের   রূপকথার মতো পথচলা থামিয়ে দিয়ে ইউরোর  ফাইনালে উঠে গেছে ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ ডেনমার্ককে   গোলে হারিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। গোল করেছেন হ্যারি কেইনঅন্যগোলটা

ডেনমার্কের সিমোন কায়েরের আত্মঘাতী ওদিকে

 ডেনিশদের হয়ে গোল করেছেন মিকেল ডামসগার্ড।

প্রথম থেকেই আক্রমণ করা শুরু করে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১২ সেকেন্ডেই ফ্রিকিক পেয়ে বসেন রহিম স্টার্লিং। ইউরোর প্রত্যেক ম্যাচেই শুরুর দিকে গোল পেয়েছে ইংল্যান্ড ম্যাচেও

 লক্ষ্য ছিল সেটাই। ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইংল্যান্ডই একের পর এক

আক্রমণ করতে থাকেপ্রেস করতে থাকে। ডেনমার্ক ধাতস্থ হতে সময় নেয় ততক্ষণ।

২৯ মিনিটে সেন্টারব্যাক আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনকে ইংল্যান্ডের লেফটব্যাক লুক  ফাউল করলে ফ্রিকিক পায় ইংল্যান্ড। সেখানথেকে দর্শনীয় এক গোলে ডেনমার্ককে

এগিয়ে দেন এই ইউরোতে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড মিকেল ডামসগার্ড। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত শুরুতে গোল

হজম করল ইংল্যান্ড।

গোল হজম করলেও হতাশ হয়নি ইংলিশরা। বরং মুহুর্মুহু আক্রমণে বিপর্যস্ত রাখে ডেনিশ রক্ষণভাগকে। ৩৮ মিনিটে স্টার্লিংয়ের এক শট দুর্দান্ত ভাবে আটকে দেন গোলকিপার কাসপার স্মাইকেল। কিন্তু এর ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় লেফট উইঙ্গার

বুকায়ো সাকার ক্রস পাঠান বক্সে থাকা স্টার্লিংয়ের

উদ্দেশ্যে। সেখানে পা ঠেকিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান ডেনিশ অধিনায়ক সিমোনকায়ের। ৩৯ মিনিটে সমতায় আসে ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঝমাঠে দখল বাড়ানোর জন্য বাড়তি মিডফিল্ডার নরগার্ডকে মাঠে নামান ডেনিশ কোচ কাসপার হিউলমান্দ। মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় কাসপার ডলবার্গ 

গোলদাতা ডামসগার্ডকে। মাঝমাঠের দখল নিতে গিয়ে ডেনমার্কের আক্রমণ আরও ধারহীন হয়ে পড়ে যেন। কিন্তু ডেনমার্কের রক্ষণভাগ দুর্দান্ত থাকার কারণে ইংলিশদের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে

পেরেছেতাঁরা।  স্কোরলাইনেই শেষ হয় মূল ম্যাচ।

গোটা ম্যাচেই অসাধারণ খেলেছেন রাহিম স্টার্লিং। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে এই স্টার্লিং ডিবক্সে

পড়ে গেলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। যদিও লেফট উইংব্যাক জোয়াকিম মেয়লে 

উইঙ্গার ম্যাথিয়াস ইয়েনসেনের সঙ্গে স্টার্লিংয়ের কোনো শারীরিক স্পর্শ হয়েছিল কি নাপ্রশ্ন তোলাই যায়। সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টি প্রথমে মিস করলেও ফিরতি বল জালে জড়ান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ম্যাচের বাকি সময় আর বিপদ বাড়তে দেননি

ইংলিশরা। ইংল্যান্ডও ১৯৯৬ ইউরোর পর প্রথম বারের মতো ওঠে ইউরোর ফাইনালে।

ফাইনালে ইংলিশদের অপেক্ষায় ইতালিয়ানরা।