• ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

একনেকে ঢাকা-সিলেট চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
একনেকে ঢাকা-সিলেট চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন

বিবিএন নিউজ ডেস্ক::একনেক সভায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় আরো আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভায় ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত মোট ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছয় হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্পে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে এডিবি। মোট ব্যয় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বাকি তিন হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে। এটি বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। আলাদা সার্ভিস লেনসহ সড়ক নির্মাণে অতিরিক্ত ৯৮৬ দশমিক ৪৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে চার হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণে কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ইউটিলিটিও স্থানান্তর করা হবে, নির্মাণ করা হবে ৩২১টি আরসিসি কালভার্ট। কালভার্টগুলোর মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় এক হাজার ৩৮১ মিটার। ছোট-বড় ৭০টি ব্রিজসহ থাকবে। থাকবে পাঁচটি রেলওয়ে ওভারপাস।
ঢাকা-সিলেট মূল সড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য আলাদা সার্ভিস লেন নির্মিত হবে। বাঁক সরলীকরণসহ অধিক মাত্রার ট্রাফিক বিবেচনায় এনে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগ নিশ্চিত করা হবে। শিল্প ও বাণিজ্যে গতিশীলতা আনতে এশিয়া হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত দেশের জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) করিডর, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) করিডরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চার লেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
চার লেন বিশিষ্ট মহাসড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত করাসহ প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, ৩০৫টি কালভার্ট, ৭টি ফ্লাইওভার/ওভারপাস, ৬টি রেলওয়ে ওভারপাস থাকবে।
প্রকল্প শুরুর এলাকা কাঁচপুর থেকে সিলেটের মোট দূরত্ব ২২৩ দশমিক ১২৮ কিমি। এর মধ্যে ১১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত। এর উন্নয়ন এলওসির আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরব ব্রিজ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রস্তাবিত সড়কের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার।