• ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ঘূর্ণিঝড়ে ইংল্যান্ডে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
ঘূর্ণিঝড়ে ইংল্যান্ডে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: বৃটেনে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যাপক এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাউথ কোস্ট অঞ্চলে গত সোমবার স্টর্ম বেলা নামের এই প্রবল ঝড়-বাতাস ও বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় হাজার হাজার মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। ঘূর্ণিঝড়ে উড়ন্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে বহু লোক আহত হয়েছে। রোববারও প্রচণ্ড ঝড়ের আশংকা রয়েছে।

নর্থ বেডফোর্ড শায়ারের গ্রেট ওউজ নদীর তীরে বসবাসকারী ১,৩০০ এর অধিক পরিবারকে বিকল্প ব্যবস্থা বা স্থানীয় জরুরি কেন্দ্রগুলিতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বেডফোর্ডে বাস স্টপস এবং পার্কিং এলাকা দ্রুত প্রবাহমান পানির স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। তবে পানির পরিধি ও গতিবেগ পরিস্থিতিকে খুবই জটিল করে তুলেছে। সুপারেনটেনডেন্ট স্টিভ অ্যাশডাউন বলেছেন, এটি নিতান্তই গুরুতর পরিস্থিতি এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে দ্রুত বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

নরফোক এবং সাফুকে তীব্র বন্যার ফলে ক্রিসমাসের আনুষ্ঠানিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লোকজন বড়দিনের সাজসজ্জা সামগ্রী সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। জরুরি পরিষেবাগুলি নর্থহ্যাম্পটন শায়ারের বিলিং অ্যাকোয়াড্রোম হলিডে পার্কে বন্যার হাত থেকে ১ হাজারের অধিক মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে।

পূর্ব থেকেই মেট অফিসের পূর্বাভাসে ৬নং সতর্কতা জারি করে এই আবহাওয়াকে জীবনের জন্য বিপদজনক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এতে আরো বলা হয়, ৮০ মাইল বেগে ঝড়-বাতাস তীব্রভাবে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানবে। ফলে বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়া, বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং মারাত্মক বন্যা হতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে বসবাসরত লোকদের ছাদ থেকে টাইলস পড়ার আশংকা আছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি ভ্রমণ বাতিল করতে হবে। ঝড়ের কবলে পড়ে মোবাইল ফোনের কভারেজ ব্যাহত ও প্রভাবিত হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড় সাউথ ও সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ড এবং সাউথ ওয়েলসের কিছু অংশে চলাচল ও জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটাবে। ‘বিধ্বংসী’ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে সমুদ্র উপকূলীয় বিচ, রাস্তা, সমুদ্রের তীরবর্তী বসতি। সৈকত সামগ্রী নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে জনগন আহত হওয়া বা জীবনের ঝুঁকির আশংকা রয়েছে।

মেট অফিস জানিয়েছে, রোববারও সাউথ ও সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ড এবং সাউথ ওয়েলসের কিছু অংশে খুব শক্তিশালী ঝড়-বাতাসের আশংকা রয়েছে।