• ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২০
মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

 

বিবিএন নিউজ ডেস্ক:করোনার বিস্তার ঠেকাতে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রতি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে রাজাকার ও আল বদরদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গণভবন অনলাইনে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে অন্যান্য মন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড’ শীর্ষক কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনের সংশোধিত খসড়ার ভূতাপেক্ষা অনুমোদন, ১৮ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নানা কর্মসূচি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা সম্পর্কিত বিষয়গুলো মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সদস্যদের সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো জানান, মন্ত্রিসভায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে।

আইনে রাজাকার ও আল বদরদের তালিকা তৈরির বিধান যুক্ত করাসহ আরো কিছু সংশোধনী যোগ করা হয়েছে। আইনে মুক্তিযোদ্ধোদের তালিকা তৈরির বিধান আছে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, ইতিহাসে তাদের নাম থাকতে হবে। এজন্যই রাজাকারদের তালিকা তৈরির বিধান আইনে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০২ সালের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ছিল। সেই আইন পরিপূর্ণভাবে বর্তমান সময়ের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের নতুন খসড়া করেছে, এই আইন পাস হলে আগের আইন বাতিল হয়ে যাবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তাদের একটা তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। ২০০২ সালের আইনে এই বিধান ছিল না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাজাকারের তালিকা করার বিষয়টি খসড়া আইনে রাখা হয়েছে। আইনে সব বিষয়ে ডিটেইল করা নেই, এটা রুল করবে। স্বাধীনতাবিরোধী বলতে কী বোঝাবে, রুলে তা বিস্তারিত বলা থাকবে। আগে আইন হোক, এরপর বিধি করবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত নতুন আইনে আগের মতই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশের কথা বলা আছে। অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধার ‘ভুয়া’ সনদধারীদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে জানতে চাইলে আনোয়ারুল বলেন, এটা ডিপেন্ড করবে কেমন অপরাধ করেছেন তার ওপর। শুধু সার্টিফিকেট নিয়েছে, নাকি অন্য সুবিধা নিয়েছে, নাকি দুটোই নিয়েছে। বা তার সন্তানরাও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন কি না, আইন অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করা হবে। এ ধরনের ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের নিবন্ধন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান সংগঠনের নিবন্ধন, কাউন্সিলের কার্যকলাপ পরিচালনা, অর্থায়ন, তহবিল ও বাজেট কীভাবে হবে- সেসব বিষয়ে খসড়া আইনে বিস্তারিত বলা আছে।(দৈনিক মানবজমিন)