লাফার্জের বিরুদ্ধে ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রি বন্ধে ডিসি-এসপি বরাবরে স্মারকলিপি
ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকস্থ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি চুক্তি লঙ্ঘন করে বে-আইনি এবং অবৈধ পন্থায় ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রির প্রতিবাদে এবং এহেন কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছে চুনাপাথর আমদানি ও ব্যবসার সাথে জড়িত ৩০টি ব্যবসায়ী সংগঠন। শনিবার ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক, ছাতক লাইষ্টোন ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক ও এফবিসিসিআই’র ভুমি মন্ত্রনালয় কমিটির চেয়ারম্যান আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, লাফার্জ কর্তৃপক্ষ অধিক লাভবান হয়ার স্বার্থে ভারত থেকে আমদানীকৃত চুনাপাথর কারখানার অভ্যন্তরে ক্রাশিং করে অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। ভাতর থেকে আমদানিকৃত চুনাপাথর দিয়ে সিমেন্ট ও ক্লিংকার উৎপাদন ও বিপনন করার শর্তে বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে লাফার্জের প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তি থাকলেও কর্তৃপক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করে চুনাপাথর ক্রাশিং করে খোলাবাজারে বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের মারাত্মক ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাফার্জ উৎপাদনমূখী শিল্প হিসেবে কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রির অনুমতি বা এখতিয়া নেই। তাই স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কার্যক্রমের সাথে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান লাফার্জকে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা বার-বার যৌক্তিক প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রি না করার জন্য লাফার্জ কর্তৃপক্ষের সাথে ফরমালি চিঠি আদান-প্রদানসহ একাধিক বৈঠকেও করেছেন ব্যবসায়ীরা। সর্বক্ষেত্রেই লাফার্জ কর্তৃপক্ষ খোলাবাজারে চুনাপাথর বিক্রি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষ্ঠাকালিন চুক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে খোলাবাজারে চুনাপাথর বিক্রি করছে লাফার্জ। যে কারণে চুনাপাথর আমদানি ও ব্যবসার সাথে জড়িত ছাতক, ভোলাগঞ্জ, তামাবিল, বড়ছড়া, বাগলি শুল্ক ষ্টেশনের কয়েক শ’ ব্যবসায়ী বর্তমানে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। পাশাপাশি চুনাপাথর ব্যবসার সাথে জড়িত লক্ষাধিক শ্রমিকের রুটি-রুজির পথও রুদ্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি সু-বিবেচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। এদিকে ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীদের নিয়ে লাফার্জ কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি আলোচনা করে সুরাহা করার সকল প্রচেষ্ঠাই করা হয়েছে। প্রথম দিকে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েলও পরবর্তিতে তা রক্ষা করেনি। ২ মার্চ সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ৮ মার্চের মধ্যে লাফার্জ কর্তৃপক্ষ এসব কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহবান জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন সারা না পাওয়ায় আন্দোলনে নামার পথ বেচে নিয়েছেন ব্যবসায়ীগণ। লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৯ মার্চ ছাতকে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এ মানববন্ধনে ব্যবসায়ী-শ্রমিকসহ সর্ব সাধারনকে অংশ নেয়ার জন্য ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে অনুরোধ জানান তিনি।