বিবিএন নিউজ ডেস্ক:রাষ্ট্রায়ত্ত্ব দেশের একমাত্র সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছাতক সিমেন্ট কোম্পানিকে ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেস প্রকল্পে রূপান্তর করতে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ একনেক সভায় আধুনিকায়ন ড্রাই প্রসেস প্রকল্পের অনুমোদন হয়। নানজিং সি-হোপ নামের একটি চায়না কোম্পানী ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৮৯২ কোটি টাকা ব্যয়ের এ নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এ কাজে তদারকির জন্য প্রায় ৬কোটি টাকা ব্যয়ে কন্টিনেন্টাল ইন্সফেকশন বিডি লিমিটেড নামের একটি ফার্মকে পরামর্শক নিয়োগ দেয় বিসিআইসি। কিন্তু প্রকল্পের সিভিল, পাইলিংসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান থাকলেও এপর্যন্ত কোনো পরামর্শক স্বশরীরে প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন নি। ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্পের ডিরেক্টর এফ এম আব্দুল বারী জানান, অনলাইনে তাদের পরামর্শ নেয়া হয় এবং প্রকল্প পরিদর্শনে ফার্মকে চিঠি দেয়া হয়েছে। মার্চ মাসের মধ্য সময়ে তারা প্রকল্পে আসবেন। এছাড়া নানজিং সি-হোপ কর্তৃক প্রদত্ত ড্রয়িং ডিজাইন যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর বিসিআইসির ২১জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে আরেকটি টিম গঠিত হলেও প্রকল্পের ডিরেক্টর এব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এদিকে প্রকল্পে নামমাত্র একজন ডিরেক্টর থাকলেও অনেকটা বিনা তদারকিতে নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করছে চায়নার এ কোম্পানি। ফলে কারখানার কর্মকর্তা, শ্রমিক সংগঠন ও দু’একজন স্থানীয়দের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই পাইলিংসহ নিম্নমানের বিভিন্ন সিভিল কাজ পরিচালিত হচ্ছে প্রকল্পে। এতে নির্মানাধীন প্রকল্পের গুনগত মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিদেশ থেকে যে মালামাল আনা হয়েছে তার প্রি ইন্সপেকশন বিদেশে হয়েছে। যারা মালামাল সরবরাহ করেছে তাদের অভিজ্ঞতার কাগজপত্র কমিটিতে দাখিল নেই এবং মালামাল-যন্ত্রাংশ দেশে পোষ্ট ইন্সপেকশন হয়নি। কন্সালটেন্ট ফার্মের কাউকে এপর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় আসতে দেখা যায়নি। টেন্ডার-সিডিউল ও কমিটির অনুমোদন-বৈঠক ছাড়াই এ প্রকল্পে অনেক কাজ চলমান বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। এসব ব্যাপারে ছাতক সিমেন্ট কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফএম আব্দুল বারী জানান, প্রকল্পে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সকল কাজের তদারকি হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। কনসালটেন্ট ফার্মকে চিঠি দেয়া হয়েছে এ মাসেই তারা প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।