• ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষনা।

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১৫, ২০২৫
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষনা।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার নব গঠিত সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাদের দাবী স্বল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ড সুবিধা এবং হাসপাতাল সেবা চালু করতে হবে।

১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুরস্হ কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী প্রিয়াস চন্দ্র দাস, মো. ইব্রাহীম, পৃথ্বীরাজ চৌধুরী, তাহরিম আক্তার, সায়মা আক্তার রিমা, সানজিয়া তাবাসসুম মাইসা প্রমুখ। এসময় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ‘অজুহাতের সুযোগ নাই, অবকাঠামোগত উন্নতি চাই’, ‘এই ব্যর্থতার দায় কার কলেজ না সরকারের’, সিএ নাই, রেজিস্টার নাই, ওয়ার্ড চালাবে কারা ভাই’, ‘ওয়ার্ড ক্লাসে অবহেলা মানি না, মানবো না’, ‘ওয়ার্ড ছাড়া মেডিকেল চলবে না, চলবে না’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া সহ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিসেম্বরর মধ্যে আউটডোর এবং সামনের বছরের জুলাই থেকে হাসপাতাল চালু হবে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা আমাদের দাবি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেলেই ক্লাসে ফিরব অন্যথায় অনির্দিষ্ট কালের ক্লাস বর্জন চলবে। এসময় চলতি বছরের জুলাইয়ের ভিতরে হাসপাতাল চালুর দাবি ও ওয়ার্ড কার্যক্রম ছয়দিন করার দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি মেডিকেল কলেজের হৃদপিন্ড বা হার্ট হলো হাসপাতাল। মেডিকেল কলেজে যদি হাসপাতাল চালু না থাকে শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ড ক্লাস, আউটডোরের কাজ, প্র্যাকটিক্যাল, সার্জারির কাজ হয় না। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেও আমরা যেতে পারছি না, কারণ আমাদের ট্রান্সপোর্ট সুবিা নেই।

এছাড়াও সেখানেও আমাদের জন্য যথাযথ সুবিধা নেই। মেডিকেল ও ওয়ার্ডক্লাস ছাড়া কেউ ডাক্তার হলেও কোন ভ্যালু থাকবে না। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের যথাযথ সুবিধা না দিতে পারে তাহলে কেন হসপিটাল চালু করেছে। সুবিধা না দিতে পারলে এটি বন্ধ করে দেয়া হোক। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আমাদের দুই দফা দাবি মেনে নিতে হবে। নইলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবো। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের শিক্ষা জীবনের ক্ষতির দায়ভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ কে নিতে হবে।