বিবিএন নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ফের ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে গতবৃহস্পতিবার ১৯৩জন যাত্রী সিলেট আসেন। বিমানটি ওসমানী বিমানবন্দরে নামার পর পরই শুরু হয় নাটকিয়তা। করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে বিমানবন্দরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সিলেটের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের নিজ নিজ বাসায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি-২০২) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটে মোট যাত্রী সংখ্যা ছিল ১৯৩ জন। যাত্রীদের অধিকাংশেরই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছিল না।
সূত্র জানায়, করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু, লন্ডন থেকে আসা যাত্রীরা স্বাস্থ্য বিভাগের এ সিদ্ধান্ত মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে যাত্রীরা কিছু উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ অবস্থায় বিমানবন্দরে প্রায় ২/৩ ঘন্টা অচলাবস্থা চলতে থাকে। বিষয়টি বিমান প্রতিমন্ত্রী ও বিমানের এমডি পর্যন্তও গড়ায়। যাত্রীরা নিজ নিজ বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন-এই শর্তে পরবর্তীতে তাদেরকে গন্তব্যে যেতে দেয়া হয়।
সিলেট সদর উপজেলাস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আহমদ সিরাজাম মুনির রাহিল জানান, যাত্রীদের ডিক্লারেশন ফর্মে করোনা সার্টিফিকেট থাকা না থাকার বিষয়টি সিল মেরে দেয়া হয়। তার জানা মতে, যাত্রীদের মধ্যে মাত্র ৪৭ জন যাত্রীর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে। বাকিদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছিল না।
পরবর্তীতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন ডা: প্রেমানন্দ মন্ডলের সিদ্ধান্তে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান ডা: রাহিল।
সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ জানান, বিমানবন্দরে আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের। স্ক্রিনিংয়ের পর মানবিক বিবেচনায় যাত্রীদের বাসায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ বিমান কর্মকর্তা।