• ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কেমন ব্যক্তিকে মসজিদের মুতাওয়াল্লী বানানো উচিত? দেওবন্দের ফতোয়া

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৩, ২০২১
কেমন ব্যক্তিকে মসজিদের মুতাওয়াল্লী বানানো উচিত? দেওবন্দের ফতোয়া
মোস্তফা ওয়াদুদ: যিনি মসজিদের মুতাওয়াল্লী হবেন, তিনি কেমন ব্যক্তি হবেন? এ বিষয়ে আমরা অনেক সময়েই বাছবিচার করি না। বরং সমাজে যার বেশি প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকে। অথবা মসজিদে তৈরিতে যার বেশি অবদান থাকে, তাকেই মসজিদের মুতাওয়াল্লী বানানো হয়। অথচ মসজিদের মুতাওয়াল্লী বানানো উচিত নেককার ও পরহেজগার লোকদের। এমন কথাই বলছে দারুল উলুম দেওবন্দ।

দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমন একটি মাসআলা জানতে চেয়েছেন জনৈক ব্যক্তি। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মসজিদের মুতাওয়াল্লী কোন ধরনের ব্যক্তিদের বানানো উচিত। আর কুরআনুল কারীমে মুতাওয়াল্লী বানানোর যেসকল গুণাবলীর কথা আছে, সেগুলো কি কি?’

প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে বলা হয়, ‘মুতাওয়াল্লী মানে হলো একজন জিম্মাদার। আর জিম্মাদার কারা হবেন সে ব্যাপারে কুরআনুল কারীমে স্পষ্ট বলা আছে।’

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘اِنَّ اللّٰہَ یَأْمُرُکُمْ اَنْ تُؤَدُّوْا الْاَمَانَاتِ اِلٰی اَہْلِہَا’ অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তোমাদের আদেশ করছেন যে, কোনো কাজ বা আমানত এমন ব্যক্তিদের অর্পন করো, যারা তার উপযুক্ত।’

যারা উপযুক্ত না তাদের কাছে কোনো আমানত না দেওয়া উচিত। সুতরাং মসজিদের মুতাওয়াল্লী হওয়ার ক্ষেত্রে যারা ওয়াক্ফ সম্পত্তির মাসআলা খুব ভালো করে জানেন। দীনদার, পরহেজগার ও আমানতদার হোন, তিনি মুতাওয়াল্লী হওয়ার উপযুক্ত। তাকেই মসজিদের মুতাওয়াল্লী বানানো যেতে পারে।’