• ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ছাতকে ২শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫
ছাতকে ২শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছাতক প্রতিনিধি:

সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়কে সওজ বিভাগের জায়গায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ছাতকে প্রায় ২শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে প্রথম অভিযান শুরু হয় জেলার প্রবেশদ্বার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে। এর পরে ধারণবাজার, কৈতক ও জাউয়াবাজারে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট সুকান্ত সাহা। এসময় হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, ছাতকের সওজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসাইন, জয়কলস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার চৌধুরীসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাতক থানাধীন জেলার প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ ব্রিজের পূর্বপার থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট পর্যন্ত উভয় পাশে কয়েক শত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। শুধু এখানে না, সড়কের বুড়াইরগাঁও, জালালপুর, ধারণবাজার, বুকারভাঙ্গা, চৌকা, কৈতক, জাউয়াবাজার, বড়কাপন পয়েন্ট পর্যন্ত ছাতক উপজেলা সীমান্তের সড়কের দুই পাশে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সাধারণত এইসব স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে থাকেন। হাটবাজার ও পয়েন্টের বিভিন্ন মার্কেটের সামনের সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা প্রায় প্রতিবছর উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু উচ্ছেদের ২/১ পর আবারও স্থাপনা গড়ে ওঠে। এতে লাভবান হন মার্কেট মালিকরা। প্রতিটি মার্কেটের মালিকরা সরকারি জায়গায় ব্যবসায়িদের বসিয়ে মাসে লাখ টাকারও বেশি অবৈধ ভাবে আয় করে থাকেন। ওইসব দোকানের কারণে পথচারিরা হাটতে পারেনা। সড়কে প্রায় সময় দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

 

গত দুইদিন আগে এসব অবৈধ স্থাপনা নিজ নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করে সওজ বিভাগ। পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী বুধবার সকালে গোবিন্দগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত সড়কের ধারণ, কৈতক ও জাউয়াবাজারে প্রায় দুইশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অন্যান্য স্থাপনা ব্যবসায়িরা নিজ উদ্যোগে অভিযানের আগেই সরিয়ে নিয়েছেন। অভিযানে শুধু সেমি পাকা ও টিনসেডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

 

স্থানীয়রা জানান, সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরির করে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা কামাই করে আসছেন মার্কেট মালিকরা। মালিকানা মার্কেটের সামনে সরকারি জায়গায় বসলে ফুটপাত ব্যবসায়িরা মার্কেট মালিককে দৈনিক ২শ থেকে ৫শ’ টাকা দিতে হয়। তাদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি জুতা সেলাইকারি মুছিও। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ২/১ দিন পর দখলকারিরা ফের দখলে মেতে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।