বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগ লিয়াকত আলী। বয়স তাঁর ছিয়াত্তর। যৌবনেই তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ব্রেইন স্ট্রোকের আক্রান্ত হোন। শরীর ও জবানে দেখা দেয় নানা সমস্যা। একা একা হাঁটতেও পারেন না তিনি। এমন কি সবাইকে ভালোভাবে চিনতেও পারেন না।
শরীরের নানা সমস্যা থাকার পরও ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর নিজের জীবন বাঁচাতে পরিবারের পরামর্শে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। কিছুদিন হলো লাঠিতে ভর করে নিজের বাড়ি থেকে পাশের বাজারের একটা চায়ের দোকানে মাঝেমধ্যে আড্ডা দিতে যান। বাসায় আর কতক্ষণ থাকা যায়? তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আওয়ামীর ১৬ বছরে এমন কিছু করেন নি যাতে তাঁকে অপমান অপদস্ত হতে হবে।
তারপরও তিনি মবের শিকার হয়েছেন। প্রথমে তাঁকে মারধর করা হয়। তারপর পুলিশ ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় মব বাহিনী। অথচ কিছুদিন পূর্বেই সেনাবাহিনী বলেছিলো যে, মব হতে দিবে না। বাস্তবে যা জিরো। উল্লেখ্য যে, যখন বারবার আঘাত করা হচ্ছিলো তখন তিনি বলছিলেন, আমাকে মারো কিন্তু আমার মাথায় আঘাত করো না। আমি স্ট্রোকের রোগী। তবুও থামেনি কুকুর-শকুনের আক্রমন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগ লিয়াকত আলী। যিনি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। রাজনীতির জবাব রাজনীতিতেই হোক। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে অপমান করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। কুকুর-শকুনের আক্রমনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজ রক্তাক্ত। পরিশেষে বলবো, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগ লিয়াকত আলীর অপমান বাংলা ও বাঙালির লজ্জ্বাই কেবল নয়, সৃষ্টি হলো একটি নতুন কলংকিত অধ্যায়।
লেখকঃ বশির আহমদ জুয়েল