নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জে দ্রুতবিচার আইনে দায়েরকৃত একটি মামলা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত ৪ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যারা সক্রিয়ভাবে জড়িত তাদের সকলকেই চেনেন জানেন শহরের চিহ্নিত লোকজন। এই ঘটনার ভিডিও প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে আছে। তারপরও শহরের এই ঘটনায় যারা দ্বারেকাছে নেই তাদেরকে আসামী করা হয়েছে ঐ মামলায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এই মামলার ২নং আসামী সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন ও তার ভাই হাসনাত হোসেন ঘটনার সময় নিজ এলাকা শান্তিগঞ্জে ছিলেন। মামলার ৩নং আসামী সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও তার সহকর্মী মোশাহিদ আলী ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলেন। ৪নং আসামী সাবেক এমপি এডভোকেট রনজিত সরকার সিলেট শহরে ছিলেন । ৭নং আসামী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল ঐদিন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম ছিলেন জামালগঞ্জে। মামলার ৯নং আসামী সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ঘটনার পূর্ব থেকেই কানাডায় অবস্থান করছেন। মামলার ২২ নং আসামী রিগ্যান সুনামগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। ২৪ নং আসামী কয়লা ব্যবসায়ী আব্দুল কদ্দুছ নিজ এলাকা তাহিরপুরে ছিলেন। ২৬ নং আসামী ফরিদ আহমদ ইমন দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে আছেন। ৩২ নং আসামী ফজলে রাব্বী স্মরন ঘটনাস্থলে ঢাকা ছিলেন। ৩৩ নং আসামী সজিব রঞ্জন দাস সল্টু গত ২৪ জুলাই কানাডা গমন করেন। ৪৮ নং আসামী দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনু ঐদিন শহরেই আসেননি। একইভাবে ৫৪ নং আসামী ফারুক মিয়া, ৫৫ নং আসামী বোগলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিলন খান,৫৬ নং আসামী বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ ঐদিন শহরে আসেননি। ৫৭ নং আসামী যাদুকাটা বালিপাথর মহালের ইজারাদার ও ঢাকা মহানগর উত্তর এর রুপননগর থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ রতন মিয়া ঢাকায় ছিলেন। ৬৭ নং আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান নিজ এলাকা তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুরে ছিলেন। ৯৮ নং আসামী শাহরিয়ার হোসেন বিপ্লব ঢাকায় তার কর্মস্থলে ছিলেন। মোট কথা মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা ঐ ঘটনার সাথে আদৌ সম্পৃক্ত ছিলেননা। গায়েবি মামলায় অন্যায়ভাবে তাদেরকে আসামী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।