সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: আমেরিকা প্রবাসী এক প্রেমিককে বিয়ে না করায় শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালো প্রেমিক। শুধু ছবি ছেড়েই ক্ষান্ত হয় নি প্রেমিক নজরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী নারীর বর্তমান স্বামীকে তালাক দিতে সামাজিক ভাবে হেনস্থা করা সহ দিচ্ছে হুমকিও। এমন অভিযোগের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাহিরপুরের ভুক্তভোগী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমেরিকা প্রবাসি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৮) এর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কথা বলতে বাধ্য করায় এবং সেই ভিডিওকল রেকর্ড এবং স্কিনশট সংরক্ষণ করে রাখে। পরবর্তীকালে এসব ভিডিও ও স্কিনশট আমাকে প্রেরণ করে ভয় দেখাতে শুরু করে। তার চাহিদামত আরও ছবি না দিলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। পরে ভয়ে তার চাহিদামতো আরও কিছু ভিডিও করে দেই আমি।
সম্পর্কের এক পর্যায়ে তাকে দেশে এসে বিয়ে করার কথা জানালে, সে অসম্মতি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে তাহেরা বললেন, উল্টো আমাকে চাকুরি ছাড়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। আমি তার কথামতো চাকুরি ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নজরুল আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে এবং আমাদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এসব জেনে আমার পরিবার আমাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের খবর শুনে নজরুল ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে পূর্বের ধারণ করা গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। আমি তার একাউন্টে টাকা দিতে না পারায় এবং চাকুরি না ছাড়ার কারণে নজরুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার এলাকার চেয়ারম্যান, বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষা অফিসারসহ সবাইকে এডিট করা আপত্তিকর ছবি, ভিডিও প্রেরণ করে আমার নামে মানহানিকর মিথ্যে অভিযোগ করতে থাকে। সে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মিথ্যে তথ্য দিয়ে মানহানিকর শিরোনামে আমার নামে সংবাদ প্রচার করতে থাকে। নজরুলের কারণে আজ আমি প্রশ্নবিদ্ধ। সামাজিক ভাবে অপদস্থ। এমনকি আমার শ্বশুর বাড়িতে এসব খবর ছড়িয়ে পড়ায় পারিবারিকভাবেও আমি অশান্তির মধ্যে সময় পার করছি। আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সকলের কাছে এর বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর সাথে তার ভাই কয়েছ মিয়া ও বোন মনিরা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রবাসী প্রেমিক নজরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে আমেরিকার নম্বরে ফোন ও ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি।