লতিফুর রহমান রাজু. সুনামগঞ্জ: যাদুকাটা নদী শুল্ক স্টেশন চালুর দাবিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছে। তাদের দাবী দ্রুত চালু করা হলে দু দেশের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ হবে। সরকার ও রাজস্ব পাবে।
স্থানীয় শাহ আরেফিন ট্রেডিং কো¤পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ ও বাংলা কয়লা সমবায় সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর এক আবেদনে যাদুকাটা নদী ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানান।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলাস্থ যাদুকাটা নদী সরকার ঘোষিত একটি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথ। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিগত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে এই নদীকে বৈধ আমদানি-রপ্তানির নৌরুট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকগণ পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু সিলেট বিভাগীয় কাস্টমস অফিস এই ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনে কোন অবকাঠামো না থাকার অজুহাতে আমদানি রপ্তানি শুরুর অনুমতি প্রদান করেনি। পরবর্তীতে যাদুকাটা নদীপথে আমদানি-রপ্তানির গুরুত্ব বিবেচনা করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি ২টি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার)প্রদান করেন। শুল্ক স্টেশন চালুর স্বার্থে স্থানীয় ব্যবসায়ীগণ ইতিমধ্যেই যাদুকাটা নদীর তীরে বড়গোপ মৌজায় ৪৫.৫ শতক জায়গা সিলেট বিভাগীয় কাস্টম কমিশনার কার্যালয়কে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে নিজস্ব খরচে একটি অফিস ভবন ও নির্মাণ করে দেন। এরপরও যাদুকাটা নৌরুটে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। এতে অতিসম্ভাবনাময় একটি বৈধ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যপথ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা জেলার বাণিজ্য বিকাশে প্রতিবন্ধক। এতে স্থানীয় আমদানি-রপ্তানিকারকসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ী তথা সর্বোপরি এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি দ্রুত চালু হলে দু দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে .সরকার ও রাজস্ব পাবে এবং দু’দেশের ব্যবসায়ীদের লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।