• ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

রাঙামাটিতে উজানের পানিতে প্লাবিত নিন্মাঞ্চলের পানি নামা শুরু,এখনও প্লাবিত ৩ উপজেলা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১১, ২০২৩
রাঙামাটিতে উজানের পানিতে প্লাবিত নিন্মাঞ্চলের পানি নামা শুরু,এখনও প্লাবিত ৩ উপজেলা

 

|| মুহাম্মদ ইলিয়াস,রাঙামাটি প্রতিনিধি ||

রাঙামাটিতে লাগাতার বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও ভারতীয় উজানে সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। শুক্রবারও থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। পানি কমার সাথে সাথে বাঘাইছড়িতে স্থানীয় লোকজন শখেরবসে মাছ শিকার করছে। নিন্মাঞ্চলে পানি নামার ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাচ্ছে। এখনও ৩টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়ে আছে। সেগুলো হলো, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, টানা ৮ দিনের ভারি বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও ভারতীয় উজানের পানির চাপ কিছুটা কমেছে। জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, রাজস্থলী, কাউখালী,নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলার বিস্তৃর্ণ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যপক ক্ষতিক্ষতি হয়েছে। নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৯শ মানুষ। পানি নামতে শুরু করলেও জুরাছড়ি,বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর হয়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় বিশেষ মেডিকেল টীম কাজ করছে। বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। ভাটির ৩ হাজার ৩শ ৬৮ হেক্টর এক ফসলি জমির ফসল বিনষ্ট হওয়ার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।

এদিকে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় শহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছোটবড় ৪ শ ১৬ টি পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। সড়কের পাশের পাহাড় ধ্বসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক, রাঙাপানি- ভেদভেদি সড়ক, রাঙাপানি- কাপ্তাই সড়কসহ ১০ উপজেলার অভ্যন্তরিণ ও কানেক্টিং সড়কের ব্যপক ক্ষতি হয়। পাহাড় ধ্বসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১৮ টি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে বলে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মেদ শফি জানিয়েছেন। ৭ টি গৃহ পাহাড় ধ্বসে ক্ষতি হয়েছে। আর পাহাড় ধ্বসের কারণে ৭ হাজার ৪শ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নতুন করে কোথাও পাহাড় ধ্বসের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বন্যার্থ ও পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদে রাখতে জেলা প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, স্কাউট, রোভার স্কাউট ও রেডক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে। একইভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টীমও বন্যা দূর্গত ও পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদেরকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে যোগ করেন এ কর্মকর্তা।