ছাতক প্রতিনিধি: উপজেলা পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে একমাত্র ছাতকে সর্বোচ্চ সংখ্যক (প্রায় ৩৯ হাজার) শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়েছে। গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ছাতক সরকারি মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজে উপজেলার বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদের টিকা সম্পন্ন করা হয়। টিকা প্রদানের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (৩০ডিসেম্বর) সম্পন্ন করা হয় বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক টিকা। এর আগে টিকা দেয়া হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১লা জানুয়ারী থেকে দেশের শিক্ষাঙ্গনে পুরোদমে পাঠদান শুরু করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদেরকে টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ছাতকে এই উদ্যোগ গ্রহন করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে একসাথে বিশাল পরিমাণ টিকার মজুদ সংরক্ষনে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিকল্প ছিলোনা। ফলে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দিয়ে আসতে হতো। শিক্ষার্থী ও তাদের সাথে থাকা অভিভাবকদের এই ভোগান্তি দূর করে ছাতকেই উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর টিকা সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নেন ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান। এতে করে বিনা ভোগান্তিতে স্বল্প সময়ে নিজ এলাকায় টিকা গ্রহন করেন সকল শিক্ষার্থী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, টানা প্রায় দু’বছরে বিদ্যালয় গুলোতে কার্যত পাঠদান বন্ধ ছিলো। নতুন শিক্ষা বছর শুরুর পুর্বেই সকল শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান শেষ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব আর কখনো দেখা দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব চক্রবর্তী বলেন, স্বল্প সময়ে বিনা ভোগান্তিতে ছাতকের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯টিকা প্রদান করা হয়েছে। মুহিবুর রহমান মানিক এমপি মহোদয়ের সময়োপযোগী এই উদ্যোগে কৃতজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।