• ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে ব্যবসায়ী হাজী এনাম হত্যা মামলার আসামীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন বাদী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
ছাতকে ব্যবসায়ী হাজী এনাম হত্যা মামলার আসামীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন বাদী

 

ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে আলোচিত ব্যবসায়ী হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম হত্যা মামলার আসামীরা জামিন পেয়ে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। মামলার বাদীর উপর আসামীরা একাধিক বার হামলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হত্যা মামলার বাদী মোস্তফা জুবায়ের।সুনামগঞ্জ আদালত চত্ত্বরে আসামী পক্ষের লোকজন বাদীর উপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে।মামলার বাদী মোস্তফা জুবায়ের জানান, গত ২ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার কাচপুর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী দবির মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১২ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ আদালত চত্ত্বরে তার উপর হামলার চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষরা। প্রায় এক মাস কারাভোগের পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পায় লাভলী বেগম। জমিনে মুক্তি পেয়ে বাদী পক্ষের উপর চড়াও হয় লাভলী বেগম ও তার স্বজনরা। বাদী ও আসামীর বসতঘর পাশাপাশি হওয়ায় প্রতিদিনই বিনা উস্কানীতে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে জামিনে থাকা আসামীরা। বর্তমানে বাদীর পরিবার ঘরের দরজা বন্ধ করে ও তারা অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। নিজের ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে একটি জিডি করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানান মোস্তফা জুবায়ের। জানা যায়, ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৩ মে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কূপিয়ে আহত করে উপজেলার নোয়ারাই এলাকার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে। গুরুতর আহত এনামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ মে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ মে হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামের মৃত্যু ঘটে। হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্তের পর হত্যা মামলা হিসেবে গন্য হয়। দবির মিয়াকে প্রধান করে রাকিব মিয়া, কবির মিয়া, সিহাব মিয়া’ লাভলী বেগমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয় । মামলার বাদী মোস্তফা জুবায়ের আরো জানান, ঈদের আগের দিন ইফতার পূর্ব সময়ে পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে খুন করেছে দবির মিয়া ও তার স্বজনরা। হামলার পর থেকেই আসামীরা চলে যায় আত্মগোপনে। এখনো হত্যাকারীদের অনেকেই রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আইনের ফাঁক দিয়ে হাজত থেকে বের হয়ে আসা আসামীরা আরো একটি হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তার ধারনা। এখন তিনি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন। আক্ষেপ করে তিনি জানান, মামলার চুড়ান্ত অভিযোগ পত্র এখনো আদালতে প্রেরন করা হয়নি। কিন্তু গ্রেফতারকৃত আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদী পক্ষের লোকজনদের রক্ত চক্ষু প্রর্দশন করছে। প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তাদের ভয়ে নিহত মোস্তফা আনোয়ার এনামের স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান ভীত হয়ে পড়েছে। মামলার আন্যতম আসামী সিহাব মিয়া ও আল শরিফ মিশু এখনো পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কৃপাদৃষ্টি কামনা করেছেন মামলার বাদী ।