সিলেটে তাবলীগে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ! তারা এখন কোথায়?
সিলেটে তাবলীগে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ! তারা এখন কোথায়?
bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৬, ২০২১
উপরে বাম দিক থেকে সায়িদ, সাদিকুর ও মামুন এবং নিচে তুহিন। ছবি: সংগৃহীত।
মেহেদী হাসান মিজু :: ২৩ থেকে ৩৩ বছর বয়সের মধ্যেই তাদের বয়স। সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীরের ৪ যুবক। প্রায় অর্ধমাস ধরে তাদের কোনো খোঁজ মিলছে না। বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তাবলীগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে। এরপর থেকে তাদের ব্যক্তিগত সেলফোন নাম্বারও বন্ধ রয়েছে। তারা কোথায় রয়েছেন তাও ঠিকমতো জানাননি। তাদের খোঁজ না পেয়ে বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সিলেট জেলার তাবলীগ জামাতের দুটি মারকাজে যোগাযোগ করেও তাদের বিষয়ে কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ যুবকেরা হলেন, ওসমানীনগরের দয়ামীর গ্রামের শেখ সামসুল হক স্বপনের ছেলে শেখ আহমেদ মামুন (২৩), একই গ্রামের ছোরাব আলীর ছেলে হাসান সায়িদ (২৪), মানিক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম তুহিন (২৪) ও মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান (৩৩)। এ বিষয়ে শেখ আহমেদ মামুনের পিতা শেখ সামসুল হক স্বপন ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-১২২৭) করেছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা জানিয়েছেন, গেলো ১৫ নভেম্বর সোমবার তাবলিগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে ঘর ছাড়েন তারা। এরপর থেকেই তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তারা কাদের সাথে তাবলীগে গেছেন, কাদের সাথে রয়েছেন, কোন মসজিদে তারা জামাতে গেছেন কোনো কিছুই জানাননি। এতে স্বজনরা উদ্বীগ্ন হয়ে ওঠেন। তারা সিলেটের বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ করেন। খোঁজাখুঁজি করেন। তাবলীগ জামাতের কাজে নিয়োজিত দুটি মারকাজেও তারা খোঁজ নেন। ১৫ নভেম্বরের পর থেকে যতোটি জামাত বিভিন্ন এলাকাতে গেছে সেগুলোতেও তাদের নাম নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তারা তাবলিগ জামাতে যাননি। এতে স্বজনদের সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে তারা সন্ধান পেয়ে ওসমানীনগর থানাতে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
নিখোঁজ যুবকদের স্বজন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মানিক জানিয়েছেন, আমরা শনিবার পর্যন্ত তাদের বিষয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। তাদের কোনো সন্ধান পাইনি। তাই আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনও তাদের কোনাে সন্ধান মেলেনি। তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাও তাদের সন্ধান পেতে কাজ করছে।(একাত্তরের কথা)