• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইংল্যান্ডে বুস্টার ডোজ নেয়ার তাগিদ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৭, ২০২১
ইংল্যান্ডে বুস্টার ডোজ নেয়ার তাগিদ

 

বিবিএন ডেস্ক: ইংল্যান্ডে আগামী বড়দিনের আগেই করোনা ভাইরাস থেকে উচ্চ মাত্রায় সুরক্ষিত থাকা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যারা ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৬ মাস পরে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ জন্য নিজেকে নিরাপদ রাখতে বৈধ বয়সীদের আগামী ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা।

তারা বলেছেন, বুধবার ইউরোপের কিছু অংশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ফলে নতুন করে ওই অঞ্চল আবারও করোনা মহামারির এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে। এর ফলে ওইসব দেশের কয়েকটিতে নতুন করে বিধিনিষেধ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদ হয়েছে রাজপথে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনার পর সতর্কতা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। যার বয়স ৪০ বছর বা তার বেশি এবং ক্লিনিক্যালি যেসব মানুষ চরমভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, তারা সবাই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ৬ মাস পরে বৈধভাবে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। টিকা বিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী ম্যাগি থ্রোপ বলেছেন, যদি আপনি করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ না নিয়ে থাকেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা নিয়ে নিন।

ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব মানুষ বুস্টার ডোজ নেবেন, তারা বড়দিনের আগেই করোনা ভাইরাস থেকে উচ্চ মাত্রায় সুরক্ষিত থাকবেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ইউরোপে নতুন করে লকডাউন ফিরে আসার কারণে বৈধ সবার উচিত দ্রুততার সঙ্গে টিকা নেয়া এবং একই সঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা খাত এনএইচএস এর ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করা। এর আগে গবেষণায় দেখা গেছে, বুস্টার ডোজ নেয়ার দু’সপ্তাহ পরে জনগণের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে তারা লক্ষণযুক্ত করোনার হাত থেকে সুরক্ষিত থাকেন।

নতুন একটি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকার দুটি ডোজ নেয়ার ৬ মাস পরে সংক্রমিত হওয়া থেকে সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এতে বুস্টার ডোজ নেয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ফুটে উঠেছে। ইসরাইলে ৮০ হাজার মানুষের ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার মাস পরে সংক্রমণের ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ এবং ছয় মাস পরে তা কমপক্ষে ১০ গুন বৃদ্ধি পায়।

এর আগের গবেষণায় বলা হয়েছিল, এই টিকা নিলে কমপক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে উচ্চ মাত্রায় সুরক্ষা দেয়। এ থেকে বোঝা যায়, এই ভাইরাসের বিস্তার বা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য বুস্টার ডোজ কর্মসূচি কতটা প্রয়োজন। নতুন গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন লিমিট হেলথ সার্ভিসেসের এরিয়েল ইসরাইল।

তিনি বলেছেন, এই গবেষণা থেকে একটিই বার্তা বেরিয়ে এসেছে। তা হলো টিকা নেয়ার ৫ মাসের মধ্যে বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত। তাদের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, লোকজন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার সময়ের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্তের ফল পজেটিভ হওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ২১ থেকে ৮৯ দিনের মধ্যে সব বয়সীদের ক্ষেত্রে করোনা পজেটিভের শতকরা হার ১.৩। ৯০-১১৯ দিন পরে এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২.৪ ভাগে। ১২০-১৪৯ দিন পরে এই হার ৪.৬ ভাগ। ১৫০-১৭৯ দিন পরে এই হার ১০.৩ ভাগ। ১৮০ দিন বা তারও বেশি সময়ের জন্য এই হার শতকরা ১৫.৫ ভাগ।