• ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

অকালে নিভে যাওয়ার এক ধূমকেতুর নাম সালমান শাহ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
অকালে নিভে যাওয়ার এক ধূমকেতুর নাম সালমান শাহ

বিবিএন ডেস্ক: ঢাকাই ছবিতে সালমান শাহ এসেছিলেন ধূমকেতুর মতো। এলেন, দেখলেন জয় করলেন রীতিতেই তিনি বনে গিয়েছিলেন সুপারস্টার। কিন্তু ক্যারিয়ারের মাত্র ৪ বছরেই নিভে গেল সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র।

তবে থামেনি সেই আলোর ঝলকানি। আজও সালমান শাহ বাংলা ছবির দর্শকের কাছে আবেগর নাম, রুপালি পর্দার ভালোবাসার রাজ্যে স্বপ্নের রাজকুমারের নাম। অনেক যুবকের বুকে হাহাকার হয় এই নায়ককে অকালে হারানোর বেদনায়। অনেক যুবতী আজও খুঁজে ফিরেন সালমানের মতো একজন প্রেমিকের মুখ।

১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে র.হস্যজনক মৃ.ত্যু হয় সালমানের। তার মৃ.ত্যুর পর প্রায় ২১ বছর নিরব ছিলেন সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা। অজা.না ছিলো নায়কের অনেক কিছুই। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাতকারে দীর্ঘ ২১ বছরের নীরবতা ভাঙেন সামিরা। সালমানের মৃ.ত্যু নিয়ে ২১ বছর ধরে চলে আসা নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সেখানে জানান সালমানের অনেক অজানা কথা।

জানালেন, স্বামীকে কখনোই তিনি সালমান নামে ডাকতেন না। মৃ.ত্যুর আগ পর্যন্ত ইমন নামেই সম্বোধন করেছেন।
তিনি আরও জানান, সালমানের চাহিদা কেমন ছিলো সিনেমায়। তার মুখ থেকেই জানা গেল, মাত্র ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় চুক্তিব্ধ হয়েছিলেন সালমান। এরপর নিজের চাহিদার সঙ্গে পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন। মৃ.ত্যুর আগ মুহূর্তে প্রতি সিনেমার জন্য ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন সালমান।

সামিরা বলেন, ‘শোবিজে কাজ করা নিয়ে ইমনের অন্য রকম আগ্রহ ছিলো। শুরুর দিকে সে র্যাম্পে হেঁটেছে। তেমনই একটি ফ্যাশন শোতেক অংশ নিতে গিয়ে আমার সঙ্গে পরিচয় ও সেই সূত্রে প্রেম-বিয়ে। অনেকদিনের সংগ্রামে ১৯৯২ সালের মাঝামাঝিতে ইমন চলচ্চিত্রের অভিনয়ের প্রস্তাব পায়। অবশেষে সেই বছরের ৩ আগস্ট মহরতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইমন সিনেমার নায়ক হিসেবে যাত্রা করলো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে।’

সালমানের স্ত্রী বলেন, ‘প্রথম ছবিতে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলো ইমন। তবে ছবিটি মুক্তি পাবার পর আকাশ ছোঁয়া সাফল্য পায়। জনপ্রিয় হয়ে যায় ইমন-মৌসুমী জুটিও। সবখানেই তাদের চাহিদা বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে পারিশ্রমিকও। ধারাবাহিকতায় শাবনূরের সঙ্গে ‘তুমি আমার’ ছবির জন্য প্রথমবারের মতো ১ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেয় সে।

এরপর বেশ লম্বা একটা বিরতি শেষে আবারও ‘দেনমোহর’ সিনেমায় ইমন ও মৌসুমী একসঙ্গে অভিনয় করে। সেই ছবিতে দেড় লাখ টাকা নেয় ইমন। এগুলো যখন সুপার-ডুপার হিট করে তখন ধীরে ধীরে তার পারিশ্রমিকও বেড়ে যায়। সর্বশেষ ছটকু আহমেদের ‘বুকের ভেতর আগুন’ সিনেমার জন্য সে দশ লাখ টাকা নিয়েছিলো। এই পারিশ্রমিকে ইমন হয়ে উঠেছিলো সবচেয়ে দামি নায়ক।’

সামিরা জানান, আরও বেশ কিছু ছবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। সেগুলোতে পারিশ্রমিক আরও বাড়তো। তারমধ্যে একটি ছবি ছিলো সেসময়ের নতুন মুখ পপির বিপরীতে। কিন্তু চির অভিমানী নায়ক সালমান হঠাৎ করেই সব পারিশ্রমিকের বাইরে চলে গেলেন।
তার পারিশ্রমিক এখন শুধুই ভক্তদের ভালোবাসা।