• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে স্ত্রী’র করা মামলায় স্বামী উজ্জ্বল আলম গ্রেফতার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
ছাতকে স্ত্রী’র করা মামলায় স্বামী উজ্জ্বল আলম গ্রেফতার

বিবিএন ডেস্ক:
ছাতকে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া উজ্জ্বল আলম (২৪) ছাতক পৌরসভার পশ্চিম নোয়ারাই এলাকার ফয়জুন নূরের পুত্র। সে নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাইটগার্ড হিসেবে চাকুরী করে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাতক থানার এসআই মোশাররফ হোসেন তাকে গ্রেফতার করেন।

উজ্জ্বল আলম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১ সেপ্টেম্বর ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-০১) দায়ের করেন উজ্জ্বল আলমের অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী নাইমা বেগম। ২০২০ সালে উজ্জ্বল আলমের সাথে বিয়ে হয় শহরের একটি নার্সিং কলেজের ছাত্রী নাইমা বেগমের। নগরীর নিরাময় পলি ক্লিনিকে ডিউটিকালে নাইমা বেগমের সাথে পরিচয় ঘটে উজ্জ্বল আলমের। এ পরিচয় থেকেই প্রেম ও পরিণয়ের সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে।
নাইমা বেগম বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের সিলেটিপাড়া-সাদিমাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা। তার জন্ম সনদ অনুযায়ী বিয়ের সময় বয়স ছিলো ১৭ বছর ১ মাস। জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ২০ অক্টোবর, আর তাদের বিয়ে হয়েছে এফিডেভিটের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর।

বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্বামীর ঘরে বসবাস করা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল হওয়ায় তাদের সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে একাধিক সালিশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বামীর স্বচ্ছলতার জন্য একাধিকবার পিতার বাড়ি থেকে নগদ টাকাও এনে দিয়েছে নাইমা বেগম। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সে স্বামী ও স্বামীর পরিবারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পায় নি। তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে এক পর্যায়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়ার পর ৪ জুলাই নাইমা বেগম বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে ২৩ জুলাই স্থানীয় কাউন্সিলর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়া হলেও স্বামীর পরিবারের নির্যাতন তার উপর থেকে বন্ধ হয়নি।

৩০ জুলাই স্বামীর বাড়ি থেকে জোর করে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনায় ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা নাইমা বেগম। মামলায় শ্বশুর-শ্বাশুরী সহ এক দেবরকেও আসামী করেন তিনি। ওই মামলায় উজ্জ্বল আলম কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানাগেছে,তাদের বিয়ের কাবিননামায় দেন-মোহর ছিলো ৪ লক্ষ টাকা। এ বিয়ের কাবিননামা, এফিডেভিটে তারিখ ও মোহরানা বিষয়ে ব্যাপক গড়মিলও রয়েছে। এতে মূল থেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলো উজ্জ্বল আলম। এ বিয়ের ভিন্ন তারিখের দু’টি এফিডেভিটও রয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার উজ্জ্বল আলমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।