• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যুক্তরাজ্যে সেপ্টেম্বর থেকে করোনার বুস্টার ডোজ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ৩, ২০২১
যুক্তরাজ্যে সেপ্টেম্বর থেকে করোনার বুস্টার ডোজ

বিবিএন ডেস্ক:করোনার নতুন প্রজাতিগুলির থেকে দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সেপ্টেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে  ব্রিটেন । সে দেশের সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী,সরকারি সিদ্ধান্ত না হলেও টিকা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এ বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেপ্টেম্বরে শীতের আগে ব্রিটেনের তিন কোটিরও বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া প্রয়োজন।

বিবিসি জানিয়েছে, কোভিডের দু’টি টিকাপ্রাপ্তদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস)। ব্রিটেনের হেল্থ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার সচিব সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, এনএইচএস-র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পরিকল্পনা রূপায়ণে যুক্ত হয়েছেন মন্ত্রীরা। তাঁর কথায়, “কোভিডের টিকাকরণের মাধ্যমে দেশবাসীকে ‘স্বাধীনতা’ই দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। বুস্টার ডোজের মাধ্যমে সে ‘স্বাধীনতা’ সুরক্ষিত হবে।”।

করোনা রুখতে টিকাকরণ কর্মসূচি অত্যন্ত সফল বলে দাবি করেছে ব্রিটেন। টিকাকরণ বিষয়ক মন্ত্রী নাদিম জাহায়ির দাবি, “দেশের ৮৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে প্রথম টিকা ও ৬২ শতাংশের দু’টি টিকাই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে নতুন প্রজাতি-সহ ফ্লুয়ের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করা যায়, শীতের আগে সে পরিকল্পনাই চলছে।”তবে টিকাকরণ ‘সফল’ হলেও শীতের আগেই ফ্লু-সহ করোনার নিত্যনতুন প্রজাতির আক্রমণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন বলে পরামর্শ ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন নিয়ে গঠিত যৌথ কমিটি (জেসিভিআই)-এর। তাদের মতে, ২টি পর্বে এই টিকাকরণ করা উচিত। প্রথম পর্বে স্বাস্থ্য, সোশ্যাল কেয়ার কর্মী, স্বাস্থ্যগত ভাবে অসুরক্ষিত, কম প্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন ও সমস্ত সত্তরোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া উচিত। দ্বিতীয় পর্বে ৫০ বা তার বেশি বয়সি, যাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্রিটেনে ৪.৪৭কোটির প্রথম ডোজ ও ৩.২৮ কোটির দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বুধবার সে দেশে ২৬ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যা ২৯ জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। এই আবহে বুস্টার ডোজ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।