• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সুরমার শরিশপুরে যাত্রী চাউনী শহীদ পরিবারের রাস্তা বন্ধ না করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নেওয়ার আলীর নামে নির্মাণের দাবি পরিবারের

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ২০, ২০২১
দক্ষিণ সুরমার শরিশপুরে যাত্রী চাউনী শহীদ পরিবারের রাস্তা বন্ধ না করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নেওয়ার আলীর নামে নির্মাণের দাবি পরিবারের

বিবিএন ডেস্ক: সিলেটের  দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের শরিশপুরে যাত্রী চাউনী ২৫ ফুট সরিয়ে ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নেওয়ার  আলীর স্মৃতি সম্মানার্থে নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন শহীদ পরিবার।

এব্যাপারে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরমান আলী।               সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের শরিসপুর গ্রামে – একটি যাত্রী চাউনী নির্মাণ হবে। মাত্র  ২৫ ফুট জায়গা সরিয়ে নির্মাণ করলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে ‘৭১- এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নেওয়ার আলীর স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা হবে।

অথচ আশ্চর্য জনকভাবে শহীদ পরিবার সহ কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা চিরস্থায়ী ভাবে করার জন্য জনৈক প্রভাবশালীর ইন্ধনে একই গ্রামের সোবাহান, জয়নাল ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে     অসাধু পন্হা অবলম্বন করে জোরপূর্বক নির্মাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন । এমতাবস্থায়, পুলিশের ওসি  দেশপ্রেম সুলভ তথা বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি একজন দেশপ্রেমিক ও নিষ্ঠাবান অফিসার হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন।
কী অদ্ভূত কান্ড, জাতির পিতার ছবি সংবলিত একটি শহীদ স্মৃতি মিনার করার স্বপ্ন যেখানে দেখছেন শহীদের পরিবার।সেখানে মুজিব কোট পরা পোশাকি একজন স্বঘোষিত নেতা এ কেমন

বাধা বিপত্তির পায়তারা  সৃষ্টি করছেন ?

শহীদ পরিবারের দেশপ্রেমের চেতনায় জাতির পিতা ও শহীদ সেনানীর স্মৃতিমিনার এর বিরোধিতাকারী কে এই এলাকাবাসী জানেন। শহীদ পরিবারের সন্তান- আনোয়ার আলী, সিরাজ আলী,মনোয়ার আলী কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন সোনার বাংলার মত গড়ে উঠেছে আমরা শহীদের পরিবার বড়ই আনন্দে গোটা দেশবাসীর মত উৎফুল্ল। সেই আদর্শে একটি স্মৃতিমিনার করতে পারছিনা?
সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের প্রাণের দাবী এবং রক্তস্নাত হৃদয়ে আকুতি বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও চর্চা কেন্দ্র, সিলেট এর পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন – গবেষক রুদ্র পলাশ।

অপরদিকে বৃহত্তর সিলেট আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড, শহীদের প্রজন্ম একাত্তর সংসদ, সিলেট ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।উক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  মগলবাজার ইউনিয়নের শরিষপুরের,  ,বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নেওয়ার আলীর বাড়ীর সামনে নির্মাণাধীণ বাসযাত্রী চাউনীটি শহীদের বাড়ীর সম্মাানার্থে  ২৫ ফুট সরিয়ে নির্মাণ করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে অনুরোধ করেন।কিন্তু  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিছু লোকজনের পক্ষে গিয়ে বাড়ীর সামনে যাত্রী ছাউনি  নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন।থানার ওসি সাহেবের হস্তক্ষেপে বর্ততমানে  নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে ।বাড়ীর সামন থেকে ২৫ ফুট সরিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নেওয়ার আলীর নামে যাত্রী চাউনীটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবার।

সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাহেদ বলেছেন, যাত্রী ছাউনিটি শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সুন্দর একটি যায়গায় নির্মাণ করা হবে।মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাইস্তা  মিয়া জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সবার সাথে আলাপ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হবে।