• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাজ্যে ৬ প্রজন্মের একটি পরিবার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ১৮, ২০২১
যুক্তরাজ্যে ৬ প্রজন্মের একটি পরিবার

 

বিবিএন ডেস্ক : হ্যাঁ, ছয়টি প্রজন্মই বেঁচে আছেন বর্তমান। আর এই ৬ প্রজন্মের একটি পরিবার। এই পরিবারের প্রধান মিসেস মেরি মার্শাল। তার বয়স ৮৬ বছর। তিনি আট সন্তানের মা।

মেরির জন্ম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাত্র চার বছর আগে। তার নাতিপুতি এবং তাদের সন্তান মিলে ৯০ জন। এমনটা খুব কমই শোনা যায় যে, একই সময়ে বর্তমান ছয়টি প্রজন্ম একই পরিবারের। কিন্তু মেরি মার্শালের ক্ষেত্রে তা সত্য। মেরি মার্শাল থেকে শুরু করে এই পরিবারের সর্বশেষ সদস্য হলো নায়লা ফার্গুসন, যার বয়স মাত্র কয়েক সপ্তাহ।

এই পরিবারটির নারী সদস্যরা একই রকম। তারা ১৮ বছর বা তারো কম বয়সেই সন্তান নেয়া শুরু করেছেন। ফলে পরিবারটির ব্যাপ্তি অনেক। এখন তারা এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ডের ভিতরে বা আশেপাশে বসবাস করেন। মেরি মার্শালের বড় সন্তান রোজ থর্নবার্ন। তার বয়স ৬৮ বছর। তিনি চার সন্তানের মা। তার মেয়ে চেরেল বোর্থউইকের বয়স আবার ৫০ বছর। তিনি আবার তিন সন্তানের মা।

এখানে উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে ক্যারি ডো নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন চেরেল । এই ক্যারি ডো’র আবার আছে চার সন্তান। ক্যারি ডো’র বয়স ৩৫ বছর। সর্বশেষ সন্তান টনি-লেই আইটকেনের বয়স ১৭ বছর। তিনিও মা হয়েছেন। ২৫ শে মে মেরি মার্শালকে স্কটল্যান্ডের ‘গ্রেট-গ্রেট-গ্রেট গ্রান্ডমা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার বসবাস এখন এডিনবার্গে।

মেরি তার পরিবারের এত বিশালতা নিয়ে বলেন, প্রতিটি সদস্যের জন্মদিন এবং বড়দিনে তিনি সবাইকে কিছু উপহার কিনে দিতে ভুল করেননি। বছরের অর্ধেক সময় এসব করতেই কেটে যায় তার। তিনি বলেন, আমি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি। এতবড় একটি পরিবার থাকা আসলেই গর্বের বিষয়। আমি সব মিলে অবিশ্বাস্য রকম সুখী।

ওদিকে পরিবারের সর্বশেষ সদস্যকে গত মাসে জন্ম দিয়েছেন টনি-লেই। তিনি বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম সন্তানের মা হতে চলেছি, তখন কৌতুক করেছি। বলেছি, আমরা তো রেকর্ড ভাঙতে চলেছি। এই পরিবারটিতে আছে ভালবাসা। পরস্পরের প্রতি সম্মান। আমরা পরিবারের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে থাকি। করোনা মহামারির কারণে পুরো পরিবার এক হতে পারি নি। যখন পারি তখন এটা আমাদের কাছে এক বড় আনন্দের উপলক্ষ হয়।

৬৮ বছর বয়সী রোজ বলেন, একটি নতুন বাচ্চা আসা অনেক আনন্দের ব্যাপার। আমাদের ৮ ভাইবোনের মধ্যে আমি অন্যতম। তাই সবসময়ই আমি বড় হয়েছি বড় পরিবারে। কিন্তু এখন অনেক বড় হয়ে গেছে পরিবার। স্কটল্যান্ডে এত বড় পরিবার আছে বলে আমি জানি না। ধারণা করা হয়, স্কটল্যান্ডে এই পরিবারটিই একমাত্র পরিবার, যেখানে একসঙ্গে ৬টি প্রজন্ম বেঁচে আছেন।