• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বিশাল ব্যবধানে লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটসে লুতফুর রহমানের ইয়েস ফর মেয়র বিজয়ী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মে ৮, ২০২১
বিশাল ব্যবধানে লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটসে লুতফুর রহমানের ইয়েস ফর মেয়র বিজয়ী

বিবিএন নিউজ ডেস্ক : অনেকদিন পর টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনীতির মাঠে দেখা গেল ক্ষমতাচ্যূত সাবেক নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমানকে। ইয়েস ফর এক্সিকিউটিভ মেয়র কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেন। আর এই রেফারেন্ডামে টাওয়ার হ্যামলেটসের জনগণ মেয়রাল সিস্টেমের পক্ষে রায় দিয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি সফল।

তাই আবারও লুতফুর রহমানের কাছে হেরে গেলেন টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনৈতিক মোড়লরা। লজ্জাজনক ফলাফলের মাধ্যমে ‘লিডারশিপ ইন টাওয়ার হ্যামলেটস’ পরাজিত হয়। এতে ইয়েস ফর মেয়র পক্ষে ভোট পরে ৬৩,০২৯টি। অন্যদিকে লিডিং টুগেদারের পক্ষে ভোট পরে মাত্র ১৭,৯৫১ টি। ফলে লুতফুর রহমানের ইয়েস ফর মেয়র ৪৫,০৭৮ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে।

ব্রিটেনের সকল রাজনৈতিক দল ক্ষমতাশীন কনজারভেটিভ, বিরোধী দল লেবার  (লেবারের ঘাটি হিসেবে পরিচিত বারা টাওয়ার হ্যামলেটস), লিবডেম, গ্রীণ পাটি সহ সকল দলকে পরাজিত করে একাই লড়ে লুতফুর রহমান জিতে নিলেন টাওয়ার হ্যামলেট রেফেরেন্ডাম।

তিনি মেয়রাল সিস্টেমের পক্ষে, বাকি সবাই ছিলেন লিডারশীপের পক্ষে। এই ক্যাম্পেইনে লুতফুর রহমানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বেথনাল্গ্রীণ এবং বো আসনের লেবার এমপি রুশনারা আলীও । কিন্তু জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এটাই প্রমাণ হলো। লুতফুর রহমান পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন কি-না এই প্রশ্নের সরাসরি কোন জবাব তিনি দেননি।

রাজনীতিতে লুতফুর রহমানকে পছন্দ করেন না টাওয়ারহ্যামলেটস রাজনীতিকরা । মূলত লুতফুর রহমানকে ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এই রেফারেন্ডাম দেওয়া হয়েছিল বলে লুতফুর সমর্থকদের ধারণা, যদিও ১০ বছর পর মেয়রাল সিস্টেম থাকবে কি না এ বিষয়ে জনগনের মতামত চাওয়ার বিধান রয়েছে।

মেয়র প্রশ্নে এই গণভোট ছিল সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বাঁচা-মরার লড়াই। অপপ্রচার এবং দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১৪ সালে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। এখন এই গণভোটের মধ্য দিয়ে তিনি ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসলেন। আর সেজন্যেই তিনি গড়ে তুলেছেন একটি প্ল্যাটফর্ম– ইয়েস ফর মেয়র টিএইচ (টাওয়ার হ্যামলেটস)।

এদিকে নিউহ্যামে ৪৪ হাজার ভোট পেয়ে ইয়েস মেয়র জয়যুক্ত হয়েছে। নো মেয়রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৮ হাজার।(শীর্ষবিন্দু)