সিলেট প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনের শুরু থেকেই মানুষের ঘরের বাইরে আসার প্রবণতা কম দেখা গেলেও বিকেল হলেই পাল্টে যায় সেই চিত্র। আসরের নামাজের পর ইফতারির সময় যতোই ঘনিয়ে আসতে থাকে ততই দোকানগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ পালন করার কথা ছিল উৎসবপ্রিয় বাঙালিদের। একই দিন ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন এবং চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।
সরকারী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সকাল থেকেই নগরী ও শহরতলীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের কঠোর অবস্থান দেখা যায়। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ঘর থেকে বের হওয়া অনেককেই। অনেকেই আবার খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকেও বের হননি। তবে ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার পণ্য বিক্রি করা দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিশেষ করে, আছরের নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদের আশেপাশে থাকা দোকানগুলোতে মুসল্লিরা ভিড় জমান।
বুধবার নগরীর বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। নামাজ শেষে আশেপাশের দোকানগুলোতে ইফতার পণ্য কিনতে শুরু করেন অনেকেই।
এদিকে দোকান খোলা থাকার সময় কম হওয়ায় এবং প্রথম রমজান হওয়ায় দোকানে ভিড় বেশি বলে মনে করছেন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এর জন্য সামাজিক দূরত্বের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছে না বলেও জানান তারা।
উপশহর পয়েন্টের একটি হোটেলের ম্যানেজার বলেন, ধরেন আমরা হালিম বা জিলাপি বিক্রি করি। এগুলো দুপুর বেলা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। ইফতারির আগে আগে সবাই গরম গরম চান। আবার দোকান বেশিক্ষণ খোলাও রাখা যায় না। অন্যদিকে আজ প্রথম ইফতার। সব মিলিয়ে একটু চাপ বেশি। এখন এই চাপের মধ্যে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে দাঁড় করানো খুবই কঠিন। যারা কিনতে আসছেন তারা এতকিছু শোনে না। কয়েক রমজান গেলে চাপ এমনিতেই কম আসবে।