বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিন শতভাগ কার্যকরি বলে জানিয়েছে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি। এই ফলাফলকে মাধ্যমিকে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োগের পথে বড় অগ্রগতি বলা হচ্ছে। ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, শিগগিরই পরীক্ষায় পাওয়া এই তথ্য অনুমোদনের জন্য মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে পাঠানো হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর স্কুল শুরু হওয়ার আগেই শিশুরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে।
সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ২৬০ জনের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণ করা কারো মধ্যেই করোনার সংক্রমণ দেখা যায়নি। ফলে কিশোরদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন শতভাগ কার্যকরি বলে দাবি করেছে ফাইজার। কিশোরদের মধ্যে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তা বড়দের মতোই।
বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে আসছেন যে, শিশুদের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ ছাড়া মহামারি পুরোপুরি বিদায় করা সম্ভব হবে না। কোনো জাতির একটি বড় অংশকে ভ্যাকসিন প্রদান না করে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ২০ শতাংশ শিশু। এরমধ্যে অনেক প্রাপ্ত বয়স্কও আছেন যারা ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছুক নন। তাই দ্রুতই শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা জরুরি। শিশুদের মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিন শতভাগ কার্যকরি এ নিয়ে উচ্ছাস জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।