তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে আংশিক বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয় কয়েকটি গ্রাম।
সোমবার ছিলো শবেবরাতের রাত। মানুষ যখন ইবাদত বন্দেগীতে ব্যস্ত। রাত তখন প্রায় ২টা। হঠাৎ করে বজ্রপাত শুরু হয়। এর কয়েক মিনিট পরেই শুরু হয় ঝড়। এরপর প্রচন্ড গতিতে বাতাস বইতে শুরু। মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ওলটপালট হয়ে যায় পুরো উপজেলা। উপজেলার কয়েক জায়গায় শিলাবৃষ্টিরও খবর পাওয়া গেছে। বেশ কয়েক জায়গায় গ্যাসের রাইজার থেকে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া পশ্চিম জামে মসজিদে ঘরের গ্যাস রাইজার থেকে আগুন ধরে যায়। গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিমকে খবর দিলে তারা তিন কিলোমিটার সড়ক পারি দিতে পারেনি। সড়কে ছোট-বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছিল। পরে আলমপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার ঘোগারকুল মাঝপাড়া এলাকার বুদুর মিয়ার ছেলে দিমজুর আলিম উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের ২টি ঘরই একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ পরিবারটি বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। পৌর এলাকার এমসির একাডেমীর পিছনে সুরমা নদীর পাড়ের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরের টিন উড়ে যায়। বৃষ্টি পড়তে থাকে ঘরে। অনেক আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটাতে হয়েছে এসব ঘরের লোকজনের।
ফুলবাড়ি ইউনিয়নের এওলাটিকর এলাকায় একটি কলোনির প্রায় ৩/৪ টি ঘরের টিন উড়ে যায়। ভেঙে যায় ঘরের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের জাবেদুর রহমান রিপন বলেন, ‘ঝড়ে আমাদের ইউনিয়নের একাধিক বাড়ির বড় বড় গাছ ভেঙ্গে গেছে। অনেক স্থানের বিদ্যুতের লাইনও ছিঁড়ে গেছে। আতঙ্ক ভরপুর ছিলো পুরো ইউনিয়নে।’
সদর ইউনিয়নের কারখানা বাজার এলাকার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায়ও একাধিক স্থানে ছোট বড় অনেক গাছ ঝড়ের কবলে পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েকটি ঘরের বেশ ক্ষতি হয়েছে।’
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, গতরাতের ঝড়ে উপজেলার অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করছি। তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।