• ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত কমপক্ষে ৫০ আন্দোলনকারী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ২৭, ২০২১
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত কমপক্ষে ৫০ আন্দোলনকারী

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৫০ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলছে দেশটিতে। এরমধ্যে শনিবারেই একদিনে সবথেকে বেশি আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করা হলো। এদিন দেশটিতে পালিত হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস। ধারণা করা হচ্ছে, এরমধ্যে আন্দোলন অব্যাহত থাকায় কঠিন পথ বেছে নিয়েছে জান্তা সরকার।

শনিবার মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী ইয়াক্সগুন ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়তে সকাল থেকেই আন্দোলন শুরু হয়। প্রথম থেকেই তাদেরকে বাঁধা দিতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এরপরই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এতে ইয়াক্সগুনে ৭ জন ও মান্দালয়তে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দালা নামক শহরে পুলিশ কার্যালয়ের কাছে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত হয়েছে আরো ১০ জন। ইনসেইন শহরে গুলিতে মারা গেছেন ৩ জন। নিহতের মধ্যে আছেন মিয়ানমারের অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলের এক সদস্যও। এছাড়া আন্দোলন হয়েছে দেশের সকল বড় শহরেই। সেখানেও চলেছে গুলি। দেশটির সাগাইং, লাশিও, বাগো এলাকাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু অয়েছে। সব মিলিয়ে একদিনে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়াল।
গত ১লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। উৎখাত করা হয় দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে। গ্রেপ্তার করা হয় প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চিসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের। এর ৫ দিন পর দেশটিতে শুরু হয় আন্দোলন। জান্তা সরকারের অভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং গণতান্ত্রিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানায় দেশটির মানুষ। প্রথম দিকে নমনীয় আচরণ করলেও এখন প্রতিনিয়তই আন্দোলন লক্ষ করে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আপনাদের এর আগের মৃত্যুগুলো থেকে শেখা উচিত যে আপনারা মাথা ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো বিপদে পড়তে পারেন। উল্লেখ্য, দেশটিতে গত দুই মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের এক চতুর্থাংশকেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।