• ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জর্ডান-ইসরাইল সম্পর্কে ফাটল,আল-আকসায় যাননি যুবরাজ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ১৩, ২০২১
জর্ডান-ইসরাইল সম্পর্কে ফাটল,আল-আকসায় যাননি যুবরাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জর্ডান ও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ইসরাইলি ‘নিষেধাজ্ঞার’ কারণে জর্ডানের যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ’র জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ সফর বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর ঘিরে উদ্ভূত কূটনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সাফাদি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার আল-আকসা পরিদর্শনের কথা ছিল জর্ডানের যুবরাজের। কিন্তু ইসরাইল নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সূ চি পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। ফলে যুবরাজ সফর বাতিল করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সফর স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র জর্ডানের সঙ্গে ইসরাইলের দ্বন্দ্বের কারণেই এই সফর বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

আল-আকসা নিয়ে যুবরাজের সঙ্গে ঝামেলা হওয়া পর জর্ডানের আকাশ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেতানিয়াহুর পরিকল্পিত ফ্লাইট নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে বাধা দেয় জর্ডান।

সাফাদি প্যারিসে মিউনিখ গ্রুপের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জর্ডান এই সফর নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে একমত হয়েছিল। কিন্তু, আমরা অবাক হয়েছি, শেষ মুহূর্তে ইসরাইল নতুন ব্যবস্থা আরোপ এবং সফরের কর্মসূচি পরিবর্তন করতে চেয়েছে।’

বৈঠকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি এবং পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের সমন্বয়কারীও উপস্থিত ছিলেন।

সাফাদি বলেন, যুবরাজ আল-আকসা মসজিদে ইসরা এবং মিরাজের প্রার্থনা করতে এই ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন।

সাফাদি আল-আকসা মসজিদ নিয়ে জর্ডানের অবস্থান পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এর পুরো এলাকা ‘শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য একটি উপাসনাস্থল। এই পবিত্র স্থানের ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।

গত বুধবার সংবাদমাধ্যম কান ১১-এর খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্মত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে জর্ডানের ব্যর্থতার পর যুবরাজের সফর বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সফরের কথা ছিল। কিন্তু, তারা বড় পরিসরে নিরাপত্তারক্ষী আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরাইল তাদের সম্মত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবিচল থাকলে জর্ডান সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।