এরপর ১০ মাসেই মায়ের কাছে পড়ে পুরো কোরআন মুখস্ত করেছে আট বছরের শিশু আবরারুল হক মুয়াজ।
কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানাধীন ছিলনী গ্রামের হাফেজ মাহবুবুর রহমানের ছেলে মুয়াজের এ প্রতিভা বিস্ময় জাগিয়েছে এলাকাজুড়ে।
মুয়াজের চাচা হাফেজ মাহমুদুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, মুয়াজকে নিয়ে তার বাবা একদিন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহিদী মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় যান।
সেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের কোরআন তিলাওয়াত তন্ময় হয়ে শোনে মুয়াজ। বাসায় এসে বাবা-মাকে খুব দ্রুতই সে হাফেজ হবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করে।
মাহমুদুল হাসান জানান, হিফজ শুরু করার কিছুদিন পরই দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সুযোগটা আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। মুয়াজের মা হাফেজা হওয়ায় ঘরে বসেই সে পুরো কোরআন মুখস্ত করতে পেরেছে।
তিনি আরও জানান, মুয়াজের হাফেজ হওয়ার পেছনে তার মায়ের অসামান্য অবদান রয়েছে। তার মা মুয়াজকে কোলে নিয়ে নিয়মিত কোরআন পড়তেন। ওই সময় মুয়াজ তন্ময় হয়ে শুনত।
মুয়াজের অল্পবয়সে হাফেজ হওয়া নিয়ে আনন্দিত ছিলনী গ্রামবাসীও। হাওরের কাদামাটিতে জন্ম নেয়া মুয়াজ গ্রামের গৌরব বয়ে এনেছে বলে মন্তব্য করেন গ্রামের বাসিন্দারা।