• ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ইংল্যান্ডে সেলফ-আইসোলেশন এখন ১৪ দিনের স্থলে ১০ দিন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১২, ২০২০
ইংল্যান্ডে সেলফ-আইসোলেশন এখন ১৪ দিনের স্থলে ১০ দিন

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডে জুড়ে করোনা ভাইরাস যুক্ত ব্যক্তিদের সেলফ-আইসোলেশন বা স্ব-বিচ্ছিন্নতা ১৪ দিনের স্থলে ১০ দিনের মধ্যে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সোমবার থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে সেলফ-আইসোলেশনের নির্দেশিত লোকদের ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তনটি প্রযোজ্য। এর অর্থ হল, গত ১০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন, এমন ব্যক্তি সোমবার থেকে পৃথকীকরণ (কোয়ারেন্টিন) শেষ করতে সক্ষম হবেন।

ইংল্যান্ড এবং নর্দার্ণ আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ অঞ্চলে কোভিডের তথ্যাবলির উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে এই ঘোষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। তবে অফিস অফ ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে লন্ডন এবং ইস্ট অব ইংল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ সরকারী তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যে ইতিবাচক পরীক্ষায় ২৮ দিনের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ৪২৪ জন মারা গেছেন এবং ২১,৬৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মূত্যুর সংখ্যা ৬৩,৫০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২,৩২,৮৯৮ জন এবং মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,০৯,৪৫৫ জন।

সেলফ-আইসোলেশন বিধির পরিবর্তনকালে ইউকের চার প্রধান মেডিকেল অফিসার (সিএমও) এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রমাণ পর্যালোচনা করার পর আমরা এখন নিশ্চিত যে, সেলফ-আইসোলেশন ১৪ দিন থেকে ১০ দিনে কমিয়ে আনতে পারব।

সিএমওরা আরো যোগ করেছেন যে, সেলফ-আইসোলেশন কোভিডের বিস্তার হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয়।

কারণ এটি সংক্রমণের সুযোগ রোধ করে থাকে। সাধারণত করোনার প্রথম লক্ষণগুলি দেখা দেয় এবং তা বিকাশের ফলে ১০ দিনের মধ্যে সংক্রমণ হয়। এরপরও প্রায় ২ শতাংশ অন্যদের মাঝে ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা থাকে। ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ড. জেনি হ্যারি বলেছেন, এই তথ্যসমূহ মহামারীর অবিরাম প্রমাণ সংগ্রহের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

সাইন্টিফিক এডভাইজারি গ্রুপ ফর ইমারজেন্সি (সেজে) এর দৃষ্টিতে যুক্তরাজ্যে লকডাউনের পরে মহামারীটি সংকুচিত হচ্ছে, তবে খুব ধীরে। জাতীয় পরিসংখ্যান সংক্রমণ সমীক্ষার সর্বশেষ তথ্য থেকে তাই প্রমানিত হচ্ছে। সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতারা বিশ্বাস করেন যে, স্কুলগুলো বড়দিনের ছুটির ফলে সংক্রমণের মাত্রা কম হবে। তবে ক্রিসমাসের সময় বিধি-নিষেধের শিথিলতার ফলে ভাইরাস বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এতে নতুন বছরের প্রথম দিকে সংক্রমণ কিছুটা বাড়বে।

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ২০ শতাংশ এরও কম লোক পুরোপুরি সেলফ-আইসোলেশন নীতি মেনে চলেছে। বাকী কেউ কেউ নিজেদের পরিমন্ডলে পদচারণায় গিয়ে নিয়মাবলী সামান্য ভাঙা আর যারা পুরোপুরি উপেক্ষা করেন তাদের মধ্যে তেমন পার্থক্য ছিল না। অর্থনৈতিক সংকট সেলফ-আইসোলেশন ভাঙার একটি মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।(ওয়ান বাংলা)