• ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

৫০ টি পরিবার কে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে পুনরায় সংসার করার সুযোগ দিলেন বিচারক

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৫, ২০২০
৫০ টি পরিবার কে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে পুনরায় সংসার করার সুযোগ দিলেন বিচারক
লতিফুর রহমান রাজু সুনামগঞ্জ :নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় কাউকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাদী-বিবাদী (স্বামী-স্ত্রীকে) সহবস্থানে থেকে একত্রে বসবাস করার শর্তে আপোষ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ৫০ টি পৃথক মামলার একসঙ্গে দেওয়া রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
৫০ টি পৃথক মামলার বাদী-বিবাদীর আপোষ নিষ্পত্তির অঙ্গিকারনামা পেয়ে আজ বুধবার আদালত একসঙ্গে দেওয়া রায়ে ৫০ টি মামলার ৯৪ জন বাদী-বিবাদী (স্বামী ও স্ত্রীকে) একত্রে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৫০ দম্পতিকে ফুল দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আপোষনামায় ৫০ দম্পত্তি অঙ্গিকার করে বলেন, সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্নভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তারা। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করবেন না। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দিবেন। স্বামী স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমানিল্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। স্বামী কখনও স্ত্রীকে নির্যাতন করবেন না, স্ত্রীকে নির্যাতন করলে বা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন পারবেন।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালত পৃথক ৫০টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় একসঙ্গে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন। সকল মামলার বাদী বিবাদীকে আপোষে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীকে মিলেমিশে পরিবারে একত্রে বসবাস করতে হবে। ভবিষ্যতে তারা ঝগড়-বিবাদ না করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবেন।