বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ১০ অক্টোবর মধ্যরাতের পর পুলিশের বিশেষ টহল দল সিয়েরা-২ রায়হান উদ্দিনকে উঠিয়ে আনে। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করছিলেন ইনচার্জ (আইসি) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল। টহল দলে থাকা এএসআই আশেক এলাহি জানান, রায়হান একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার কণ্ঠে কণ্ঠ মেলান সেখানে উপস্থিত এএসআই কুতুব আলী। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
এক পর্যায়ে রায়হানকে ফাঁড়ির ভেতরের একটি কক্ষে নিয়ে শুরু হয় বেধড়ক মারপিট। লাঠি, লোহার রড যে যা দিয়ে পেরেছেন, রায়হানকে পিটিয়েছেন। বেধড়ক পিটুনিতে এক সময় অনেকটা অচেতন হয়ে পড়েন রায়হান। তবুও থামে না নির্যাতন। অচেতন রায়হানের উপরে নির্যাতনের সকল কৌশলই প্রয়োগ করা হয়। মারপিটের এক পর্যায়ে নিয়ে আসা হয় প্লাস। ভোঁতা সেই অস্ত্র দিয়ে রায়হানের হাতের আঙুল থেকে নখ টেনে তোলা হয়। যতক্ষণ জ্ঞান ছিলো তাকে না মারার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন রায়হান।
ঠিক একই রকম আকুতি সোমবার শোনা গেছে রায়হান হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বরখাস্তকৃ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার কণ্ঠে। সীমান্তের ওপারে খাসিয়াদের হাতে ধরা পড়ার পর তিনি তাকে না মারার জন্য কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকুতি জানিয়েছেন। খাসিয়াদের হাতে আটকের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোনা গেছে এমন আকুতি।
বারবার আকবরকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাকে মারবা না ভাই।’ তাকে আটক করা খাসিয়ারা অভয়ও দেন মারবেন না বলে। তবুও বিশ্বাস হয় না আকবরের তিনি বলেন, ‘সত্য বলছ মারবা না’?(সূত্রঃএকাত্তরের কথা )