• ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর কারণেই আজ লাল সবুজের পতাকা উড়ছে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর কারণেই আজ লাল সবুজের পতাকা উড়ছে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে

বিবিএন নিউজঃহাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কারণেই আজকের এই দিনে লাল সবুজের পতাকা উড়ছে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে।সকল নস্যাতকারীরা মাথা নত করে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশর সদস্য পদ লাভ দিনটি উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ’র সভাপতিত্বে ও সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক’র প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ভার্চুয়েল আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় প্রধান আলোচকঃ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব সাবেক ছাত্রনেতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী জননেতা তোফায়েল আহমদ এমপি।
প্রধান বক্তাঃ মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব ড:এ কে আব্দুল মুমিন এমপি।
অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন।
যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দীন, প্রফেসর আবুল হাসেম, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক নইম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়া, আবদুল আহাদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ, জনসংযোগ সম্পাদক রবিন পাল,শিক্ষা ও মানবসম্পদ খসরুজ্জামান খসরু, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক এস এম সুজন, মানবাধিকার সম্পাদক সারব আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মেসবাউর রহমান মিসবাহ,ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ফয়জুর রহমান খান, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ স ম মিসবাহ, সহ প্রচার সম্পাদক লুৎফুর রহমান ছায়েদ,

স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর একটি অন্যতম ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৪ সালের আজকের এইদিনে বাংলাদেশ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে যোগদান করে।একই মাসের ২৫ তারিখ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাঙ্গালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাংলায় ভাষণ প্রদান করে বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে নজিরবিহীন এক সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

তবে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের সূচনা হয় কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়। সে সময় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ এবং শরণার্থীদের সহায়তা দানকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে প্রথম যুক্ত হয় জাতিসংঘ।
সদস্যপদ পথটি বাংলাদেশের জন্য মোটেই সহজ কোনো বিষয় ছিল না। বঙ্গবন্ধুর প্রবল ব্যক্তিত্বর কারণেই বাংলাদেশের এ প্রাপ্তি খুব দ্রুত সম্ভব হয়ে ওঠে।

মূলত স্বাধীনতার পরপরই জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালাতে থাকে বাংলাদেশ। পরে ১৯৭২ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য তৎপরতা চালায়।

তবে জুলফিকার আলী ভুট্রোর আমলে পাকিস্তান সরকারের প্ররোচনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের ভেটো প্রদানের কারণে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ অর্জনে ব্যর্থ হয়।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে লড়াই করতে হয়েছিল।অনেক চড়াই উৎরাই পর ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভ করলেও এর পূর্ব থেকেই জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থায় সদস্যপদ লাভ করতে শুরু করে দেশটি। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথম জাতিসংঘ সংস্থায় সদস্যরূপে স্বাগত জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মূলত এর পরপরই বাংলাদেশ জাতিসংঘের বেশিরভাগ বিশেষায়িত অঙ্গ সংস্থার সদস্যপদ লাভ করতে থাকে।

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বে আরও সমুন্নত হয়েছে। দেশটি এখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছে। তাছাড়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশের দুইবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও মানবাধিকার পরিষদের সদস্য পদ লাভ করেছিল এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কমিশন ও নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের চেয়ারম্যান পদেও দেশটি একবার ছিল।

প্রশংসনীয় ভাবে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে দেশটির লক্ষাধিক শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে।