বিবিএন নিউজ ডেস্ক: নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। গত ৩ এপ্রিল এক নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে অবকাশ যাপনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হক। তিনি দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে ঘটনার পর প্রায় এক ডজন অডিও-ভিডিও ফাঁস হওয়ার কারণে তার এই দাবি বিতর্কের জন্ম দেয়। এরপর তিনি ওই নারীকে ‘মানবিক বিয়ে’ করেছেন বলে জানান।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে তিনি স্বীকার করেন গত কয়েক দিনে ফাঁস হওয়া ফোনালাপ তারই ছিল। আত্মপক্ষ সমর্থন করে মামুনুল বলেন, ‘স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করা যায়।’
তার এ সকল বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আবারো সৃষ্টি হয় সমালোচনার ঝড়। এবার ওই বিতর্কের পর মাওলানা মামুনুল হক নামে ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ থেকে করা লাইভ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে ওই পেজে গতকালের করা ফেসবুক লাইভটি পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবারের ফেসবুক লাইভে মামুনুল বলেছিলেন, ‘স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে’। বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি আরো বলেন, ‘সেদিন নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, আমি কেন এই পরিস্থিতিতে রিসোর্টে গেলাম। হ্যাঁ আমি স্বীকার করছি যে, এমন অসাবধানতাবশত সেখানে আমার যাওয়া সমীচীন হয়নি’।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইসলামে চারটি বিয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের আইনেও চার বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা নেই।
মামুনুল হক বলেন, কাজেই আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি এতে কার কী? যদি আমি স্ত্রীদের কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকি, তবে আমার বিরুদ্ধে আমার পরিবার অভিযোগ দিতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি দেখাতে পারবে যে আমার পরিবার কোনো বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দিয়েছে।(কালেরকন্ঠ)