সিলেট প্রতিনিধি :: টুপি ও পাঞ্জাবি পরে নিয়মিত ক্লাসে আসায় সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই প্রভাষককে অব্যাহতি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। গত ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে এই দুই প্রভাষককে কলেজে না আসার বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান। এ নিয়ে সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বইছে সমালোচনার ঝড়।
এছাড়াও শনিবার (৩ এপ্রিল) জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সামনে প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া দুজন হচ্ছেন- সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে প্রভাষক আব্দুল হালিম শনিবার সকালে মুঠোফোনে সিলেটভিউ-কে জানান, ‘আমি ও প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম নিয়োগের সময় পাঞ্জাবি-টুপি পরে কলেজে আসার জন্য গভর্নিং বডির কাছে আবেদন করি। আমাদের তখন লিখিতভাবে অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ কর্নেল সোহেল উদ্দিন পাঠান এ বিষয়ে বেঁকে বসেন। তিনি আমাদেরকে শার্ট-প্যান্ট পরে আসতে চাপ সৃষ্টি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান তিনবার আমাদেরকে নোটিশ প্রদান করেন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির বৈঠক ডেকে আমাদেরকে আর কলেজে না আসতে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন। তবে আমাদেরকে লিখিতভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে, টুপি-পাঞ্জাবি পরার কারণে কলেজের দুই প্রভাষককে অব্যাহতির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। এছাড়াও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে প্রভাষক আব্দুল হালিম ও মুজাহিদুল ইসলামকে দ্রুত কলেজে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান