লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী জাদুকাটায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে নদীর তীর কেটে ও তীর সংলগ্ন জমিতে ৮০ থেকে ১০০ ফুট গর্তকরে শতাধিক পাথর কোয়ারি করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী বালু-পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্রধারা উত্তোলন করা ৪০ হাজার ঘনফুট বালি ও ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে তা উন্মুক্ত নিলাম ডেকে বিক্রি করা প্রশাসন ।
বুধবার(২৪ মার্চ) সকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের নেতৃত্বে এ অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স।
পরে জব্দ করা ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৪০ হাজার ঘনফুট বালি উন্মুক্ত নিলামে তোলা হলে স্থানীয়রা এতে অংশ নেন। দুপুর ১১ টা থেকে শুরু হওয়া টাস্কফোর্সের পরিচালিত এ অভিযানে জব্দকৃত বালি পাথর সন্ধ্যা ৭টায় উন্মুক্ত নিলাম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
জানাযায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী বালু-পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্র প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ২/৩ মাস যাবত ঘাগটিয়া এলাকায় বড়টেক, শিয়ালের টেক ও জালর টেক এলাকায় জাদুকাটা নদীর তীর কেটে ও তীর সংলগ্ন জমিতে কোয়ারীকরে বালু-পাথর উত্তোলন করে আসছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন গতকাল সরেজমিন ঘটনার স্থল পরিদর্শন করে তা জব্দ করে। পরে জব্দকৃত বালু-পাথর
উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিয়ে প্রতি ঘনফুট পাথর ৫২ টাকা এবং বালি প্রতি ঘনফুট ১৩ টাকা দরে কিনে নেন স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ এবং জাকির হোসেন। সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ পাথরের মূল্য আসে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বালি ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ এ প্রতিবেদককে জানান, জাদুকাটা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তোলন করা বালি-পাথর আজ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে জব্দ করে, উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের এ অভিযানে এসময় আরও ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের পরিদর্শক মাঈদুল ইসলাম, র্যাব-৯ (সিপিসি-৩) সুনামগঞ্জের ডিএডি মো. জাহিদুল ইসলাম, তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার, লাউড়েরগড় বিওপি’র হাবিলদার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।