ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ছাতক গাড়ি পাকিংকে কেন্দ্র করে দু’ গ্রামবাসিদের মধ্যে মুখামুখি সংঘষে শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।গত মঙ্গলবাব সকালে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ -করছখালি গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে দেশী অস্ত্র নিয়ে দেড় ঘন্টা ব্যাপি দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া বাড়িঘর ভাংচুরে ঘটনা ঘটে।এ সংঘষে আশংকাজনক ২২জন সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে আবারো ও সংঘষের আশংকা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়,গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসনাবাদ বাজারে পাগলা থেকে একটি সিএনজি গাড়ির চালক পাকিং করায় অপরাধে তাকে মারপিট করেন কালারুকা ইউপির আব্দুল ওদুদের ভাগিনা করছখালি গ্রামে মাসুক মিয়ার পুত্র মামুন ও একই গ্রামের নুরুলহকের পুত্র শামীম আহমদ। এ ঘটনার জের ধরে সিএনজি চালককে অন্যভাবে মারপিট করায় পক্ষে নেন তার নানা বাড়ির হাসনাবাদ গ্রামের লোকজন।এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাজার এলাকায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তাৎক্ষনিক বাজার কমিটির কয়েকজন মুরবী মিলে তাদের দু’পক্ষের বিরোধটি নিস্পতি করে দেয়।এ ঘটনার জের ধরে করছখালি গ্রামে মামুনের বাবা হাসনাবাদ গ্রামে সুজন মিয়া তার ব্যক্তিগত মোবাইল দিয়ে গভীর রাতে মঙ্গলবাব সকাল ১০টায় তার সহপরিবার মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।গত মঙ্গলবার সকালে মাসুক মিয়া,আব্দুল কাহার,নুরুল হক,জৈনউদ্দীনের নেতৃত্বে ৫০-৬০জনের সংঘবদ্ধ লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে করছখালি গ্রামে থেকে প্রায় কিলোমিটার দুরত্ব হাসনাবাদ গ্রামে এসে তারা অতকিত হামলা করার চেষ্টা চালায়। এ হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে দু’ গ্রামবাসীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপি তুমুল সংঘঘের ঘটনায় প্রথমে পুলিশ থামাতে ব্যর্থ হন। পরে থানার তদন্ত ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
গুরুত্ব আহতরা হলেন সদরদ্দীন মেম্বার(৬০)আরশ আলী (৭০)রইছ আলী (৭০)আরজ আলী (৬৫) সুজন (৪৫) সমছু মিয়া (৭৫)আব্দুল গনি(৩০) হাছন আলী (৩০) সালিক (২৫)সুমন আলী (২০)লায়েক আহমদ (২৭)আজিজুর রহমান (২৮) খালেদ আহমদ সংবাদকর্মী (৪০) শাহিন আহমদ (৩৫)সাগর আহমদ(২২) আমির আলী (৬০) মামুনুল রশিদ (৩৫) সাদ্দাম (২৭) নোমান আহমদ (২৫)ওয়ারিছ আলী (৪০) আজিজ উদ্দিন (৪০) কে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে। ৭৮ জনকে কৈতক ও ছাতক হাসপাতালে ভতি করা হয়। এব্যাপারে সুজন মিয়া জানান,করছখালি গ্রামবাসী লোকজন তার গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোঘনা দিয়ে প্রায় কিলোমিটার দুরত্ব এলাকায় দেশী অস্ত্র নিয়ে হাসনাবাদ গ্রামবাসিদের উপর অতকিত হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। এ হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বাড়ি ঘর ভাংচুরে সংঘষে ছড়িয়ে পড়ে। ভাংচুরে ঘটনায় প্রায় ২লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেন। তাদের পরিকল্পিত হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের শান্তি দাবি করেছেন।
এব্যাপারে অফিসার ইনচাজ শেখ নাজিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে অভিযোগ পেলে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।