আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বানাশা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন এই অকুতোভয় মুজিব সৈনিক।
মানুষ মরে যায় রেখে যায় স্মৃতি, কথাটি যথার্থ কয়েস ভাইয়ের ক্ষেত্রে। আজ থেকে প্রায় ২ মাস আগে পেশাগত কাজে গিয়েছিলাম তার ফেঞ্চুগঞ্জের বাড়িতে।
চা চক্র আর গল্পের ফাঁকে ফেঞ্চুগঞ্জের সামাদ চত্বরে ‘আল্লাহ’ লেখা নিয়ে এনটিভিতে আমার করা একটি নিউজের প্রশংসা করলেন। বললেন, তোমার নিউজটা সুন্দর হয়েছে।
এরপর তিনি আল্লাহু শব্দ উপরে দেয়ার ব্যাখ্যাও করলেন। বললেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। যতজন মানুষ লেখাটি পড়বেন, ঠিক ততটুকু সওয়াব আমার কবরে যাবে- তাই।
আপাদমস্তক একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন তিনি। করোনাকালেও যিনি তার এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। এলাকার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ মানুষটির মৃত্যু সংবাদ শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম। মনে মনে আল্লাহকে ডাকছিলাম, আর প্রার্থনা করছিলাম যে খবর শুনছি তা যেনো মিথ্যা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর খবরই সত্য হলো।
কিছুতেই ভুলতে পারছি না মানুষটাকে। গত ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে জেলা পুলিশের আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
বক্তব্য শেষে স্টেজ থেকে নেমেই বললেন, লস্কর আমার বক্তব্য কোড করলে এমপি সামাদ চৌধুরী লিখে দিও। কারণ হেডলাইনে এই নাম লেখলে সিলেটের বাইরের সবাই আমাকে চিনবে।
ভালে থাকুন সাধারণ মানুষের অসাধারণ কয়েস ভাই। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
লেখক : সম্পাদক সিলেট প্রতিদিন