এদিকে, এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শোক স্তব্ধ হয়ে পড়ে তার জন্মস্থান ফেঞ্চুগঞ্জ। ফেঞ্চুগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। অনেকে ভেঙে পড়েন কান্নায়। পুরো উপজেলাবাসীর মুখে নেমে আসে বিষাদের ছায়া।
অনেকেই বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে চলে যান মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নুরপুরস্থ বাড়িতে। সেখানে সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। অনেকে তাঁর বাড়ি উঠোনে লুটিয়ে পড়েন কান্না করতে করতে।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করে ভাবাবেগপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন উপজেলার মানুষজন। আগামী এক শ বছরেও এমন একজন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী আসবে না না বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন অনেকে।
রাজনৈতিক জীবনে সফলতার শিখরে উঠা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী একজন স্বপ্নবাজ নেতা ছিলেন। নিজের উন্নত রুচি আর মানুষের চাহিদাকে মূল্যায়ন করে আপন করে সাজিয়েছেন পুরো ফেঞ্চুগঞ্জকে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, খেলাধুলার স্থান, চিকিৎসাকেন্দ্র সহ সর্বত্র উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে বৃহস্পতিবার পাড়ি জমান পরপারে। তাঁর মৃত্যু রাজনৈতিক মাঠেও অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিমত দিচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।