বিবিএন নিউজ ডেস্কঃছাতক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সফিক মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ফরুপ উদ্দিনের পুত্র জামাল উদ্দিন। সফিক মিয়া উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের রাউলী গ্রামের কলমদর আলীর পুত্র। গত বছরের ১০ অক্টোবর এ মামলা(নং-২৮৭/২০১৯) দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। জানা যায়, স্বজন তাজুল ইসলামকে সৌদি আরব পাঠানোর উদ্দেশ্যে সৌদি প্রবাসী ছোটভাই কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে ওই দেশের একটি ভিসা আনেন জামাল উদ্দিন। এ ভিসা প্রসেসিং করার জন্য পূর্ব পরিচিত ট্রাভেল ব্যবসায়ী শফিক মিয়ার স্মরনাপন্ন হন তিনি। এক পর্যায়ে ভিসা প্রসেসিং করে দেয়ার নামে জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে দেড় লক্ষ টাকা নেন শফিক মিয়া। এসব টাকা গ্রহনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সফিক মিয়ার স্ত্রী, ছাতক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগমও জড়িত রয়েছেন বলে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে দেয়া পৃথক একটি অভিযোগ থেকে জানা গেছে। টাকা নিয়ে ভিসা প্রসেসিং না করে সাকুল্য টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টায় বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকনে সফিক মিয়া। এক পর্যায়ে সালিশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ৯০ হাজার টাকা আদায় করতে সক্ষম হন জামাল উদ্দিন। অবশেষে বাকী পাওনা ৬০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য সফিক মিয়া গত বছরের ২ এপ্রিল আল-আরাফাহ ব্যাংক সিলেট আম্বরখানা শাখার তার নিজ নামীয় হিসাব নং-(০৪৯১১২০০০১৮০১) এর একটি (৬০ হাজার টাকার) চেক(নং-৮৫৩৫৩২৪) প্রদান করেন জামাল উদ্দিনকে। কিন্তু তার এ একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ৭ আগষ্ট ওই চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার করা হয়। প্রদত্ত চেকের টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে জামাল উদ্দিনের পক্ষে ২৫ আগষ্ট ডাকযোগে সফিক মিয়া বরাবরে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন সুনামগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবি এড. মাসুক আহমদ। ৯ সেপ্টেম্বর লিগ্যাল নোটিশ গ্রহন করেও বর্নিত সময়ের মধ্যে সফিক মিয়া পাওনা টাকা পরিশোধে কোন উদ্যোগ গ্রহন বা যোগাযোগ করেননি। উক্ত টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে এ ধরনের টালবাহানা করে যাচ্ছেন বলে জামাল উদ্দিনের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই সু-বিচারের স্বার্থে বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামী সফিক মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান জামাল উদ্দিন।