লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ ::সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্ত¡র-৭১’ এর আশপাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজোতি পাবলিক লাইব্রেরির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহবয়ক অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।
অভিযোগে বলা হয় সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের গোবিন্দগঞ্জ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১’ চত্ত¡রের আশপাশে সড়ক ও জনপথের অন্তত শত কোটি টাকার জমিতে অনেক স্থায়ী স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছে সওজের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। বার বার ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নামে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।
প্রকৃত স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে বলে জানান বক্তারা। এতে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকছে প্রতিনিয়ত। ফলে ভোগন্তিতে আছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।
সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ ও সরকারি আদেশ প্রতিপালন না করায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন জানিায়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহŸায়ক ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, জেলা সিএনজি চালিক অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জমসেদ আলী প্রমুখ।
এ ব্যপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, যেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁরা সকলে হাইকোর্টের নিষেদাজ্ঞা নিয়ে এসেেছন। এর বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রিট করেছে। হাইকোর্টের আদেশ আসলেই তাঁরা এদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।