মো: রেজাউল করিম মৃধা: লক ডাউন, সরকারি বিধিনিষেধ, সবার সর্তকা এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে ইংল্যান্ডের করোনাভাইরসের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুয়ায়ী লক ডাউনের শিথিলের রোড়ম্যাপ ঘোষনা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা সর্বনিম্ন স্তরে নেমে আসতে শুরু করলেও ইংল্যান্ডের ৩৫ টি অঞ্চলে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস এখনও বাড়ছে। সোমবার পর্যন্ত ভাইরাসের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষার ২৮ দিনের মধ্যে আরও ১০৪ জন মারা গিয়েছিলেন। ২ অক্টোবর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫,৪৫৫ জন।
পশ্চিম সাসেক্সের ওয়ারথিং-এ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে নাটকীয়ভাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
দক্ষিণ ইংল্যান্ড এবং লিংকনশায়ারের পূর্ব লিন্ডসের ল্যাঙ্কাশায়ারের হ্যান্ডবার্ন এবং উত্তর ইয়র্কশায়ার রিচমন্ডশায়ার শীর্ষ হারের পাঁচটি অঞ্চলকে বর্ধিত হারের সাথে নিয়েছে। ইংল্যান্ডের ৩১৫ টি স্থানীয় অঞ্চলের মধ্যে ৩৫ টির ক্ষেত্রে বেড়েছে, ২8৮ টি (৮৮%) হ্রাস পেয়েছে এবং দুটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের কর্বির ইংল্যান্ডে সর্বাধিক সংক্রমণের হার রয়েছে, যেখানে প্রতি ১০০,০০০ লোকের মধ্যে ২৬৪.৫ কেস পাওয়া যাচ্ছে। তবে, কর্বিতে নতুন মামলার সংখ্যা আগের সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে। লিসেস্টারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কোভিড হার রয়েছে, আর কেমব্রিজশায়ারের ফেনল্যান্ড তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
ধাপে ধাপে লক ডাউন তুলে নিলেও সবাইকে সরকারি নিয়মনীতি এবং বিধিনিষেধ গুলি মেনে চলতে হবে। শতর্কতা সবাইকে অবলম্বন করতে হবে। গত ২৪ ঘন্টায় ( মঙ্গলবার ) করোনায় মৃত্যু ৩৪৩ জন এবং আক্রান্ত ৬,৩৯১ জন।(ওয়ান বাংলা)