• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজের স্থায়ী সমাধানের দিকে যাচ্ছি আমরা: সচিব আনোয়ারুল কবির

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজের স্থায়ী সমাধানের দিকে যাচ্ছি আমরা: সচিব আনোয়ারুল কবির
লতিফুর রহমান রাজু ,সুনামগঞ্জ : হাওরের ফসল রক্ষায় জীব বৈচিত্র রক্ষা করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজের স্থায়ী সমাধানের দিকে যাচ্ছি আমরা। প্রতি বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ করে কোটি কোটি টাকা ব্যয় কমিয়ে আনতে পরিকল্পনা চলছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থ্যা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান, কৃষক নুরুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক শংকর রায়, সময় টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র প্রমুখ। সভায় কৃষক নুরুল হক বলেন, গত বছর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন করলেও চুড়ান্ত বিল পাইনি। হাওরের ফসল রক্ষায় পিআইসিরা মান সন্মত কাজ করেও সময় মতো বিল পাচ্ছে না যা দুঃখজনক। সময় টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করতে হবে না হলে আগামীতে হাওরে মাটির সংকট সহ জীব বৈচিত্র সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পিআইসিরা এখন তৃতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় কিস্তির পুরো টাকা না পাওয়ায় অর্থ সংকটে বাঁধের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। সিনিয়র সাংবাদিক শংকর রায় বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় নদী খাল খননে গুরুত্ব দিতে হবে।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান জানান, চলতি বছর সুনামগঞ্জে  ৬১৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৮১১ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অনুকূলে ১৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ছাড় হয়েছে মাত্র ৫০ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। সভায় প্রধান অতিথি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার আরো বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় পিআইসি প্রথা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পিআইসি প্রথায় স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত থাকায় কাজ ভালো হচ্ছে। প্রতি বছর কমছে ডুবন্ত বাঁধের কাজ। হাওরের মাছ, ধান পাখি জীব বৈচিত্র রক্ষা করে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের জন্য স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা পরিকল্পনা করছি। আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে স্থায়ী সমাধানের কাজ শুরু হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম শহিদুল ইসলাম,তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদৌহা, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব প্রমুখ পরে তিনি নলুয়ার হাওরের একটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।