লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী এ কেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন হাওরের মানুষ হাসি মূখে তাদের শ্রম ঘামে উৎপাদিত বোরো ফসল ঘরে তুলুক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটিই চান । হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ যাতে আগামীতে স্থায়ী ভাবে করা যায় সেই চিন্তা করছে সরকার। তিনি বলেন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা ছিল কিন্ত এখনো অনেক কাজ বাকী তাই আগামী ৭ মার্চের মধো অবশ্যই কাজ শেষ করতে হবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানাই। মন্ত্রী বলেন শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের মধ্যে একজন শিক্ষক বলা যায়। বিগত বন্যা, আইলা ও সর্বশেষ কোভিড ১৯ যেভাবে মোকাবিলা করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয় পৃথিবীর মানুষের কাছে। ফসল রক্ষাবাঁধের কাজে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নাম কা ওয়াসতে রাখায় একাধিক জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন ভবিষ্যতে জন প্রতিনিধিদের গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হবে ।
সোমবার সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭এর আওতায় কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিউর রহমান ,সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা.শামস উদ্দিন, হাওর বাচাও আন্দোলন সভাপতি আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু,সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী ,তাহির পুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, প্রমুখ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক একেএম ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশিমোহন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান ও উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী স্পীড বোট যোগে জামালগঞ্জ ও ধর্ম পাশা উপজেলার বিভিন্ন ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন।